ওবাইদুল্লা লস্কর, কাকদ্বীপ: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, গঙ্গাসাগরে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। আজ সকাল থেকেই গঙ্গাসাগর ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের তৎপরতায় কপিলমুনির মন্দিরের সামনে থেকে শুরু করে একাধিক এলাকায় চলছে মাইকিং প্রচার।
পাশাপাশি কাকদ্বীপ বৎস অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারির পক্ষ থেকে সমস্ত মৎস্যজীবীকে ২২ তারিখের মধ্যে উপকূলে ফিরে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে দীপাবলির দিনেই রাজ্যে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ উপকূলবর্তী এলাকার জেলাগুলিতে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১২টি দলকে মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বৃহস্পতিবারই সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে রাজ্য সরকার। এই মুহূর্তে যাঁরা ছুটিতে রয়েছেন, তাঁদের ২২ অক্টোবরের মধ্যেই কাজে যোগ দেওয়ার জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উত্তর আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। নিম্নচাপটি ক্রমশ পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে সরতে শুরু করবে। শনিবার নিম্নচাপে পরিণত হয়ে রবিবার শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে তৈরি হবে। দিল্লির মৌসম ভবনও বিশেষ সতর্ক বার্তা পাঠিয়েছে।