‘
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র দেড় মাসের মাথায় লিজ ট্রাসকে ঘিরে শুরু হয়েছে চরম বিতর্ক। শুল্ক কমানোর তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে। এ নিয়ে কনজারভেটিভ পার্টির একাধিক নেতা পরিকল্পনায় ভুল হয়েছে স্বীকার করলেও এতদিন প্রধানমন্ত্রী লিজ ছিলেন নীরব। তবে এবার মুখ খুলেছেন তিনি। ‘ভুলের’ জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তবে পদত্যাগ করবেন না বলেও জানিয়েছেন। বলেন, ‘সামনের জাতীয় নির্বাচনে দলের নেতৃত্ব দেব।’ জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে লিজ বলেন, ‘এই ভুলের দায়িত্ব নিচ্ছি আমি, আর এ জন্য সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি জনগণের উচ্চ কর ও জ্বালানি খরচ কমানো জন্য পদক্ষেপ নিতে চেয়েছিলাম। তবে আমরা খুব দ্রুত অনেক দূর ভেবে ফেলেছি। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমি নতুন পন্থাসহ নতুন চ্যান্সেলরকে নিয়োগ দিয়েছি।’ এখন ব্রিটেনকে নিয়ে লিজের সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল কিনা জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। আর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেটির প্রতিই আমার অগ্রাধিকার থাকবে। আমি জাতির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। জাতিকে যা বলেছি তার প্রতি আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে তা বাস্তবায়নে আমাদের একটু ভিন্নভাবে এগোতে হবে।
মূলত, কর কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেড় মাস আগে ক্ষমতায় আসেন লিজ ট্রাস। ক্ষমতায় এসেই ‘মিনি বাজেট’ প্রণয়নের পদক্ষেপ নেন তিনি। তবে তার সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। এর কারণে অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেংকে সরিয়ে জেরেমি হান্টকে নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয় গত ১৪ অক্টোবর। দায়িত্ব পেয়েই হান্ট বলেন, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কর কমার সম্ভাবনা নেই। কিছু ক্ষেত্রে আবার নতুন করে কর সংযোজনও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে লিজ ট্রাসের সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল সে বিষয়টিও অকপটে জানান হান্ট। এসব কারণে বিরোধী দল ও নিজ দলের এমপিদের কাছেই বিতর্কিত হয়ে পড়েন লিজ। তারা লিজের পদত্যাগ দাবি করেছেন। তবে সাক্ষাৎকার দিয়ে পদত্যাগ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন লিজ।