নয়াদিল্লি, 5 আগস্ট : সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ঘুরছে আর সেটি হল উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ শহর থেকে হিন্দুদের গণ-প্রস্থানের খবর। দাবি করা হয়েছে, কিছু হিন্দু বাড়ির বাইরে পোস্টার দিয়ে বলা হয়েছে যে তারা লাজপত নগর কলোনি ছেড়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এই গৃহত্যাগের জন্য দায়ী করা হয়েছে মুসলিমদের। যদিও স্থানীয় পুলিশ এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, কেউ বিশেষ স্বার্থ ও উদ্দেশ্য নিয়ে এমনটা রটানোর চেষ্টা করছে। টিভি৯ হিন্দি চ্যানেল একটি রিপোর্ট করেন মনীশ যাদব। সেখানে তিনি দাবি করেন যে, মুসলিমদের ‘জ্বালায়’ অতিষ্ঠ হয়ে গিয়ে ৮১টি পরিবার কলোনি ছেড়ে চলে যেতে মনস্থির করেছে। পাশাপাশি অভিযোগ করা হয়েছে, ওই এলাকা থেকে হিন্দুদের ‘তাড়াতে’ মুসলিমরা নাকি ‘ষড়যন্ত্র’ করে পশুর মাংস ও বর্জ্য দ্রব্য ফেলছিল হিন্দু কলোনিতে। ইউপিসিটিনিউজ ডট কম নামে একটি হিন্দি নিউজ ওয়েবসাইটও একই দাবি করে রিপোর্ট প্রকাশ করে। এমন স্পর্শকাতর খবর প্রচার করলেও তারা কোনও সূত্রের উল্লেখ করেনি। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। তাহলে প্রকৃত ‘ষড়যন্ত্র’ করতে চাইছে কে বা কারা? আসলে কি মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলে মুসলিমদের তাড়ানোই এই ঘৃণ্য চক্রান্তের মূল অভিপ্রায়। প্রশ্ন উঠছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
যাইহোক, স্থানীয় পুলিশ এই ‘খবর’কে ‘মিথ্যা তথ্য’ বলে জানিয়েছে। কাটঘর থানার এসএইচও জানিয়েছেন, খবর চ্যানেলে যা বলা হচ্ছে তেমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। একদল লোক ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। ওই ‘বিতর্কিত’ পোস্টার নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, কলোনি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই দুই বাসিন্দা বাড়ি বিক্রি করেছিলেন। তাঁদের সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে এমন পোস্টার লাগানো হয়েছে। বাড়ির বিক্রয় সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে বলে দাবি করেছেন এসএইচও। এর পাশাপাশি গণপরিসরে সত্য তথ্যও দেবে পুলিশ যাতে পরিকল্পিতভাবে ছড়িয়ে দেওয়া ভুল ধারণা ভেঙে যায় সাধারণ মানুষের। দৈনিক জাগরণের দাবি, দুই মুসলিমের কাছে বাড়ি বিক্রি করায় এই ঘটনার সূত্রপাত।