পুবের কলম প্রতিবেদক: আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি চিকিৎসকরাও জন্ম-মৃত্যুর সার্টিফিকেট-এর পাশাপাশি মেডিক্যাল ফিটনেস সার্টিফিকেট দিতে পারেন। এ নিয়ে ২০২০ সালে আইন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ‘ন্যাশনাল কমিশন ফর ইন্ডিয়ান সিস্টেম অফ মেডিসিন রুল’ নামের আইনে এ নিয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে।
শুধু তাই নয় ১৯৬১ সালের ‘পশ্চিমবঙ্গ আয়ুর্বেদিক সিস্টেম অফ মেডিসিন’ নামে একটি আইন রয়েছে। তারপরেও রাজ্য সরকার আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের যোগ্যতামানকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না। এমনই অভিযোগ সামনে এসেছে। আর তার প্রেক্ষিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রধানসচিবকে চিঠি লিখল কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ন্যাশনাল কমিশন ফর ইন্ডিয়ান সিস্টেম অফ মেডিসিন’।
অভিযোগ, আইনি স্বীকৃতি থাকলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার আয়ুর্বেদিক ডাক্তারদের বিশেষ কাজে অসহযোগিতা করছে।
রীতিমতো নোটিশ জারি করে বলা হচ্ছে, এমবিবিএস ছাড়া কোনও ডাক্তার মেডিক্যাল ফিটনেস সার্টিফিকেট দিতে পারবেন না। এটা স্পষ্ট আইন লঙ্ঘন বলেই দাবি করছেন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা। তাদের দাবি, ২০২০ সালে এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার আইন করেছে। ১৯৬১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারেরও একটি বিশেষ আইন রয়েছে। যেখানে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দিতে পারেন। কিন্তু বর্তমান সরকার তা মানছে না। এমনই একটি অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা ন্যাশনাল কমিশন ফর ইন্ডিয়ান সিস্টেম অফ মেডিসিন-এর গ্রিভেন্স সেকশনে জমা করে চিকিৎসক অর্পণ সাহা।
চিকিৎসকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাতে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকার যাতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের আইনি স্বীকৃতি প্রদান করে এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা যাতে মেডিক্যাল ফিটনেস সার্টিফিকেট দিতে পারেন তার বন্দোবস্ত করতে হবে।
এ নিয়ে অবশ্য রাজ্য সরকারের কোনও জবাব পাওয়া যায়নি।