পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : কর্নাটকের মাইসুরুতে বন বিভাগের কর্মী ও আধিকারিকদের হেফাজতে এক আদিবাসী ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, হেফাজতে বনকর্মীদের অত্যাচারে মৃত্যু হয়েছে তার। মৃতের নাম কারিয়াপ্পা। মৃত আদিবাসী ব্যক্তি এন বেগুরু গ্রাম পঞ্চায়েতের এইচ ডি কোটে তালুকের হোসাহালি জনপদের বাসিন্দা ছিলেন।
৪৯ বছর বয়সের কারিয়াপ্পাকে হরিণের মাংস রাখার অভিযোগে বনকর্মীরা তাকে আটক করেছিল। কারিয়াপ্পার পরিবার সহ তার গ্রামের মানুষের অভিযোগ বনকর্মীদের অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছে তার। বনকর্তৃপক্ষ দাবি করে কারিয়াপ্পার ওপরে কোনও অত্যাচার করা হয়নি, সে গুরুতর অসুস্থ ছিল।
গত ১০ অক্টোবর কারিয়াপ্পাকে হরিণের মাংস শিকার ও মাংস রাখার একটি মামলায় হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। তাকে একটি শিকার বিরোধী ক্যাম্পে রাখা হয়। বুধবার সকালে তার শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিলে কারিয়াপ্পাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
আদিবাসী ব্যক্তি কারিয়াপ্পার মৃত্যুর ঘটনায় গুন্দ্রে ফরেস্ট রেঞ্জের এক আধিকারিক জানান, কারিয়াপ্পা গুরুতর অসুস্থ ছিল।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, কারিয়াপ্পার দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল। কারিয়াপ্পার অপর এক আত্মীয়া রম্যা জানান, যে তিনি পাঁচজন বনরক্ষীকে তার বাড়ির কাছে আসতে দেখেন, পরে তারা কারিয়াপ্পাকে তুলে নিয়ে যায়। এখন হঠাৎ করে তাদের জানানো হয়েছে, কারিয়াপ্পা আর বেঁচে নেই। কিছুদিন আগে মাইসুরু জেলার বাইলাকুপ্পের কাছে একটি গ্রামে বনকর্মীদের হাতে এক আদিবাসী ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়।
ব্রহ্মগিরি আদিবাসী জনপদের বাসিন্দা সুরেশ বনদফতরের কর্মীদের বিরুদ্ধে একরাশ অত্যাচারের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন। সুরেশ বলেন, অরণ্যে প্রাকৃতিক কারণে কোনো বন্য প্রাণীর মৃত্যু হলে তারা গ্রামের মানুষের কাছে এসে কৈফিয়ৎ চায়। হুমকি, তুলে নিয়ে গিয়ে মামলা করা হবে বলে শাসানো হয়। তাদের হাতে আদিবাসীদের অনেক অত্যাচার হতে হয়। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি বলে সুরেশ জানিয়েছেন।