পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: চলতি বছরের শেষেই গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন।তার আগে বুধবার শুরু হচ্ছে গুজরাত গৌরব যাত্রা। এই যাত্রার সূচনা করবেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। মোট পাঁচটি রুটে হবে এই গুজরাত যাত্রা।
এবার মোদি- শাহদের রাজ্যে কংগ্রেস নয় গেরুয়া শিবিরের মূল প্রতিপক্ষ কিন্তু অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আমআদমি পার্টি। আপের একাধিক নেতা ইতিমধ্যেই কিন্তু গুজরাত সফর সেরে ফেলেছেন। দিল্লি, পঞ্জাবের পর এবার কি গুজরাত? কেজরির আপ কতটা ছাপ ফেলতে পারবে? আদৌ কি গুজরাতে ঝাড়ু ঝড় দেখা যাবে। এইরকম একাধিক প্রশ্ন কিন্তু ঘোরাফেরা করছে রাজনৈতিক মহলে।
এমতাবস্থায় দাঁড়িয়ে বিজেপির গুজরাত গৌরব যাত্রার প্রেক্ষিতে কিছু প্রশ্ন সামনে আসছে আবশ্যিক ভাবে। প্রথমত বিজেপির এই সফরের মূল লক্ষ্য আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ককে নিজের দখলে রাখা।
আদিবাসী ভোটাররা ঐতিহ্যগত ভাবে কংগ্রেসকে ভোট দেন। আপ ইতিমধ্যেই ক্ষমতায় এলে উন্নয়নের ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এমত পরিস্থিতিতে, বিজেপির ‘গুজরাত গৌরব যাত্রা’র রুট মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাকে কেন্দ্র করেই বেছে নেওয়া হয়েছে। এমনিতেই উগ্র হিন্দুত্ব এবং দলিত ও নিম্নবর্ণের ওপ একচেটিয়া ঘৃণা ও বিদ্বেষের রাজনীতি বিজেপি থেকে মুখ ফেরাতে বাধ্য করেছে। তাই গুজরাতে দলিত, আদিবাসীদের আস্থা অর্জন পদ্ম শিবিরের আছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
উল্লেখযোগ্যভাবে, গুজরাতে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের পরে এবং২০০২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম ‘গৌরব যাত্রা’ বের করেছিলেন।
সেই বছরের রাজ্য নির্বাচনের আগে ২০১৭ সালে দ্বিতীয় ‘গৌরব যাত্রা’ সংগঠিত হয়েছিল।
২০০২ সালে, বিজেপি মোট১৮২ টি আসনের মধ্যে১২৭ টি আসনে জয়লাভ করেছিল ২০১৭ সালে, গেরুয়া শিবির ৯৯ টি এবং বিরোধী কংগ্রেস ৭৭ টি আসন পেয়েছিল। বুধবার মন্দিরের শহর দ্বারকা থেকে যাত্রা শুরু করেন নাড্ডা।
যাত্রার আরেকটি রুট হবে মেহসানা জেলার বহুচরাজি মন্দির শহর থেকে। প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটেলও উপস্থিত থাকবেন, মঙ্গলবার বিজেপি জানিয়েছে।
শাহ বৃহস্পতিবার তিনটি রুটে যাত্রা শুরু করবেন- আহমেদাবাদ জেলার জাঞ্জারকা গ্রামের সন্ত সভাইয়ানাথ মন্দির থেকে এবং অন্য দুটি রুট হবে নভসারি জেলার ভান্সদা তালুকের উনাই মাতা মন্দির থেকে।
বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতারা বিভিন্ন স্থানে যাত্রায় যোগ দেবেন।
নাড্ডা ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব, গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি এবং প্রাক্তন মন্ত্রী জওহর চাভদা বুধবার দ্বারকায় উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছে বিজেপি ।