পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: জটিল অস্ত্রোপচার করে কিশোরীর গলা থেকে থেকে প্রায় সাড়ে ৩ কেজি ওজনের টিউমার বার করলেন এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকরা। প্রায় ছ’ঘণ্টার চেষ্টায় ওই অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। আপাতত রোগিনী স্থিতিশীল। বৃহস্পতিবার ওই কিশোরীকে ছুটি দেওয়া হবে বলেই সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর।
জানা যায়, ওই কিশোরীর নাম আজমিরা খাতুন। বছর ১৪ এর আজমিরা বিহারের বাসিন্দা। নবম শ্রেণির পড়ুয়া সে। বছর দু ‘ য়েক আগে ওই কিশোরীর গলা হঠাৎ করেই লেবুর মত ফুলতে শুরু করে। প্রথমে এই বিষয়ে তেমন ভ্রুক্ষেপ না করলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আয়তনে বাড়তে থাকে
আর গত ৮ মাসের মধ্যে অবস্থার অবনতি ঘটে। গলার ফোলা অংশটা হঠাৎ করেই মারাত্বক আকার ধারণ করে। তার ভারে কিশোরীর মুখও এক দিকে বেঁকে যেতে থাকে। তারপর থেকেই হঠাৎ করেই শুরু হয় তীব্র যন্ত্রণা ও শ্বাস কষ্ট। তারজেরে একাধিক হাসপাতালে চক্কর কাটলেও মেলেনি কোনও সুরাহা।
এদিন অস্ত্রোপচার এর পর আজমিরা সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে হোমিয়োপ্যাথি এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা করিয়েছিলেন তারা। তাতে কোনও লাভ হয়নি। তারপরেই বাড়ে বিপত্তি। ফোলা অংশটা হঠাৎ করেই মারাত্বক আকার ধারণ করে। প্রাথমিক পর্যায়ে খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিল তার পরিবারের সদস্যরা। পরে পরীক্ষা করে ধরা পড়ে গলায় টিউমার হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমে আজমিরার মা জানান, ঘটনাটি শোনার পর আমরা খুব ভয় পেয়ে যাই। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানান, মেয়ের গলায় টিউমার হয়েছে। তার পরে কলকাতায় আসি।’’ তিনি এদিন আরও জানান, শেষ ছ’মাস ধরে মাঝেমধ্যেই এই রাজ্যে এসে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে আজমিরার চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। কিন্তু সকলেই প্রায় আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন।তারপর একদিন ওই তরুণীর প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হলে এসএসকেএমে নিয়ে আসা হয়।
পরীক্ষায় দেখা যায়, এটি স্নায়ুর টিউমার। সবদিক বিচার বিবেচনা করে শেষ পর্যন্ত অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন হাসপাতালের বিশিষ্ট চিকিৎসকরা। দীর্ঘ ছ’ঘণ্টার অপারেশনে কেটে বাদ দেওয়া হয় বিশালাকার সেই টিউমার। ওজন করে দেখা যায় সেটির ওজন প্রায় সাড়ে ৩ কেজি। অস্ত্রোপচারের পর রোগিনীর পরিবার পরিজনরা ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক দের।