পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: স্বামী চাননি, স্ত্রীকে তাঁর বেতনের অঙ্ক জানাতে। অনেক অনুরোধ-উপরোধেও গলেনি জল। স্বামী সাফ জানান তিনি কত বেতন পান তা জানাতে বাধ্য নন তিনি। কম জাননা স্ত্রীও, সোজা তথ্য জানার অধিকার আইনে দিলেন ঠুকে অভিযোগ।
সঞ্জু গুপ্তা তার স্বামীর ২০১৮-১৯ আর্থিকবছর এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট আয় এবং তার করযোগ্য আয়ের বিবরণ জানতে আরটিআই আবেদন করেছিলেন। ইতিমধ্যেই সেন্ট্রাল ইনফরমেশন কমিশন (সিআইসি) আয়কর বিভাগকে ১৫ দিনের মধ্যে তার স্বামীর মূল করযোগ্য আয় এবং মোট আয়ের বিশদ আপীলকারীকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে। উল্লেখ্য মোটসম্পদ, দান, আয়কর রিটার্ন, বিনিয়োগের বিশদ বিবরণ, ধার দেওয়া এবং ধার নেওয়া ইত্যাদি সম্পর্কিত বিবরণ ব্যক্তিগত তথ্যজানার অধিকার আইনের আওতায় আসে। এই প্রসঙ্গে বেশ কিছু উল্লেখ্যযোগ্য তথ্য জানার অধিকার মামলার কথা উল্লেখ করা যায়। বিজয় প্রকাশ বনাম ভারত ইউনিয়ন (২০০৯)। রাজেশ রামচন্দ্র কিডিলে বনাম মহারাষ্ট্র সরকারের মামলা। বম্বে হাইকোর্ট এর নাগপুর বেঞ্চ এই মামলা পর্যবেক্ষণ করেছিল। এই মামলায় বিচারপতিরা বলেন যেখানে স্ত্রীর ভরণপোষণের বিষয়টি জড়িত, সেখানে বেতনের বিবরণ সম্পর্কিত তথ্যকে সীমাবদ্ধ বা গোপন রাখা যায়না। বিবাহ নামক সম্পর্কে যখন একজন নারী-পুরুষ আবদ্ধ হন তখন একে অপরের সম্পর্কিত যে কোন তথ্য জানার অধিকারী। সেখানে কোন গোপনীয়তা চলেনা। ১৯ সেপ্টেম্বর এই মর্মে জাতীয় তথ্য কমিশন সেন্ট্রাল পাবলিক ইনফর্মেশন অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আবেদনকারী সঞ্জু গুপ্তার আপিল মোতাবেক তাঁর স্বামীর আয়কর ছাড়া বেতন কত তা জানাতে হবে। (২২০)