পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বেঙ্গালুরুর জালাহাল্লিতে এয়ার ফোর্স টেকনিক্যাল কলেজের (এএফটিসি) হোস্টেলে ২৭ বছর বয়সী এক ছাত্রের মৃতদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনায় ছয়জন বিমান বাহিনীর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
এক বর্ষীয়ান পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন এয়ার কমোডর, গ্রুপ ক্যাপ্টেন এবং উইং কমান্ডার পদমর্যাদার কর্মকর্তা।
পুলিশ জানায়, বুধবার ২৭ বছর বয়সী এয়ারফোর্স ক্যাডেটকে তার হোস্টেলের ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ তার ঘর থেকে একটি সাত পাতার সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। সেই নোটে এয়ার কমোডর, গ্রুপ ক্যাপ্টেন এবং উইং কমান্ডারের নাম আছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা। তবে পরিবারের তরফ থেকে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
ডিসিপি(নর্থ) বিয়ানক পাটিল সাংবাদিকদের সামনে বলেছেন, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এয়ারফোর্স ক্যাডেট-এর মৃত্যুর ঘটনায় একটি খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, চিঠিতে যাদের নাম উল্লেখ আছে, তারা এই হত্যা করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। শীঘ্রই চার্জশিট পেশ করা হবে।
ডিসিপি জানিয়েছেন, পুলিশ মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতের তদন্ত সম্পর্কিত নথি চেয়েছেন। মৃত্যু সম্পর্কে, ক্যাডেট তার চিঠিতে সিনিয়রদের কাছ থেকে হয়রানি ও নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। আমরা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য চিঠি পাঠিয়েছি।
তদন্তের সঙ্গে জড়িত অন্য একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, গঙ্গামনাগুড়ি থানায় একটি মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পরে সুইসাইড নোটে থাকা ছয়জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ধারা ৩০২ (খুন) এর অধীনে মামলা করা হয়েছে। এএফটিসি তদন্তে সহযোগিতা করছে। বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা মৃতের সুইসাইড নোট সহ তার দুটি মোবাইল ফোন আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। মোবাইল ফোন এফএসএল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। প্রয়োজনে বিমান বাহিনীর আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলা হবে।
মৃতের খুড়তুতো ভাইয়ের বয়ান অনুযায়ী, মৃত্যুর আগে তার ভাই তার সঙ্গে কথা বলেছিল। তাকে কিছু নথিতে স্বাক্ষর করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। মানসিক চাপে ছিল সে। তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ায় তিনি গুরুতর মানসিক আঘাতের মধ্যে ছিলেন। এর আগে জুলাই মাসেও তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তবে তার বাবা-মায়ের অনুমতি না পেলে এখনই ভাইয়ের অবসাদের বিষয় কিছু বলতে পারব না বলে জানিয়েছেন তিনি।
মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের অভিযোগ তাদের কিছু খবর দেওয়া হয়নি। বার বার ফোনে কল করে তাকে না পাওয়ায় ইন্সটিটিউটে যেতে হয়েছিল। শুক্রবার সন্ধ্যা সাত নাগাদ এই মৃত্যুর সম্পর্কে তারা জানতে পারেন। আইএএফ বা এএফটিসি এই মৃত্যুর ঘটনায় এখনও সাংবাদিক বৈঠক করে কিছু জানায়নি।