ওবাইদুল্লা লস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগণাঃ কাকদ্বীপে মৎস্যজীবীর মৃত্যুকে ঘিরে দানা বাঁধছে একাধিক রহস্য। গত ৯ তারিখ কাকদ্বীপের 8 নম্বর মাইতির চক এলাকার মৎস্যজীবী প্যাটার্ন দাস গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যান কিন্তু হঠাৎই তার পরিবারের লোকের কাছে খবর আসে তিনি নাকি নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন।সমস্ত মৎস্যজীবীরা ফিরে আসলেও নিখোঁজ ওই মৎস্যজীবী প্যাটার্ন দাস এর কোন খোঁজ মিলছিল না। এর পরই সাগর থানার পক্ষ থেকে তার দেহ উদ্ধার করে কাকদ্বীপ পুলিশ মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
তবে পরিবারের দাবি এফ. বি. রাজলক্ষী ট্রলারে মাঝি বীরঞ্জন দাস ওই মৎস্যজীবীকে বাড়ি থেকে মারতে মারতে নিয়ে যায়। পরিবার সূত্রে আরও জানা যায় প্যাটার্ন দাস না যাওয়ার কথা বলেছিল। তাই জন্য মাঝি তাকে মারধর করে ট্রলারে নিয়ে যায়।পরিবারের সুত্রে আরও জানা যায় প্যাটার্ন দাসের দুটি বিবাহ । প্রথম স্ত্রী থাকতেন কাকদ্বীপে ও দ্বিতীয় স্ত্রী সোনারপুরে। দ্বিতীয় পক্ষে স্ত্রীর অভিযোগ প্যাটার্ন দেসকে প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও মাঝি মিলে মেরে ফেলেছে ।তবে এই ঘটনায় দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী কাকদ্বীপ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে গোটা বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে ।