আইভি আদক, হাওড়া: পুলিশ যদি বিজেপি কর্মীদের আগামীকাল নবান্ন অভিযান করতে বাধা দেয় তাহলে পুলিশকেও বিজেপি ছেড়ে কথা বলবে না। পুলিশকে কিভাবে ঠিক করতে হয় তা বিজেপি কর্মীদের জানা আছে। সোমবার দুপুরে হাওড়ার সাঁতরাগাছি পরিদর্শন করতে এসে একথা জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আগামীকাল মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচি রয়েছে। সেই কর্মসূচির প্রাক্কালে এদিন সাঁতরাগাছি বাসস্ট্যান্ড চত্বর পরিদর্শন করেন তিনি এবং দলীয় নেতৃত্বকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। তিনি যান হাওড়া ময়দানেও। সুকান্ত মজুমদার এদিন সাংবাদিকদের বলেন, “স্টেশন ভারত সরকারের সম্পত্তি।
তার ভিতরে রাজ্য সরকারের পুলিশ বিনা অনুমতিতে ঢুকতে পারেনা যদি কোনও অপরাধীকে ধরতে না হয়। কিন্তু এখানে কেউ অপরাধী নয়, সাধারণ মানুষকেও আজকে ট্রেনে উঠতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়ে গিয়েছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা যদি গোটা বাংলা থেকে কলকাতায় পৌঁছান তাহলে তার চেহারা আর আস্ত থাকবে না। ভয়েই উনি এগুলো করছেন।
” সাংবাদিকরা বলেন, নবান্ন অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে সোমবার হাওড়া ব্রিজে দেখা গেছে পুলিশের তরফ থেকে সিঙ্গেল লেন করে দেওয়া হচ্ছে। আগামীকাল যারা মিছিলে যাবেন তাঁদের সিঙ্গেল লেন দিয়েই আসতে হবে। এবং যদি কোনও গন্ডগোল হয় তাহলে তো বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ? এর উত্তরে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বড়সড় দুর্ঘটনা হতে পারে কিনা সেটা আমরা অবশ্যই দেখব৷
কিন্তু পুলিশ যদি এই কাজ করে এবং তারা যদি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কন্ঠকে এইভাবে রোধ করতে চায় তাহলে পুলিশকেও আমরা ছেড়ে কথা বলব না। আমরা শেষ পর্যন্ত দেখব এবং আমাদের জানা আছে কিভাবে পুলিশকে ঠিক করতে হয়।” এদিকে, আগামীকাল বিজেপি’র নবান্ন অভিযানের আগে সোমবার সকাল থেকেই হাওড়ায় পুলিশি প্রস্তুতি ছিল তুঙ্গে। হাওড়া স্টেশন, শিবপুর পুলিশ লাইন, নবান্ন নিকটবর্তী কাজীপাড়া মোড়ে পুলিশের গাড়িতে ছয়লাপ রয়েছে। কয়েক হাজার পুলিশ কর্মী বিভিন্ন জেলা থেকে আগামীকালের নবান্ন অভিযান উপলক্ষে মোতায়েন করা হয়েছে।