পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: সমীকরণ এমনই দাঁড়িয়েছিল, এশিয়া কাপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে পরিণত হয় পাকিস্তান আর আফগানিস্তানের ম্যাচটি। যে ম্যাচে আফগানিস্তান জিতলে হিসেব-নিকেশ জমে উঠতো পুরো টুর্নামেন্টের।
তখন সব দলের জন্যই উন্মুক্ত হয়ে যেতো লড়াই। সুযোগ থাকতো আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা-চার দলেরই। দুই ম্যাচ জিতেও বাদ পড়ার সম্ভাবনা থাকতো শ্রীলঙ্কার। আবার এক ম্যাচ জিতলেও ফাইনালে চলে যেতে পারতো ভারত, পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তান।
সেই সব হিসেব-নিকেশ শেষ হয়ে গেলো পাকিস্তানের নাটকীয় জয়ে। শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে রুদ্ধশ্বাস এক লড়াইয়ে আফগানিস্তানকে ১ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান।
ইতিহাসের অন্যতম সেরা এক ম্যাচের সাক্ষী হলো শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ ওভারে টানা ২ ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিলেন লোয়ার অর্ডারের ব্যাটার নাসিম শাহ।
সুপার ফোরের ম্যাচে বুধবার ১ উইকেটের নাটকীয় জয়ে ফাইনালে পাকিস্তান। এতে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে আফগানিস্তান আর ভারতের। পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কা খেলবে ফাইনালে।
টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ১৭ ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ছিল ৫ উইকেটে ১০৫। জয়ের জন্য তখন দরকার ১৮ বলে ২৫। হাতে যথেষ্ট উইকেট থাকায় পাকিস্তানের পক্ষেই ছিল ম্যাচটি।
কিন্তু এরপরই ঘটে নাটকীয়তা। ১৮তম ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে মুহাম্মদ নওয়াজ (৪) আর খুশদিল শাহকে (১) তুলে নেন আফগান পেসার ফজলহক ফারুকি।পরের ওভারে আসিফ আলির ছক্কায় ১০ রান তুললেও আরও দুই উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। ফরিদ আহমেদের ওই ওভারে হারিস রউফ ০ আর আসিফ ৮ বলে ১৬ করে শর্ট ফাইন ক্যাচ হলে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে পড়ে পাকিস্তান।
শেষ ওভারে দরকার ছিল ১১। কিন্তু হাতে মাত্র ১ উইকেটে, তার চেয়েও বড় কথা ছিলেন না কোনো স্বীকৃত ব্যাটার। লোয়ার অর্ডারে নাসিম শাহ আর মুহাম্মদ হাসনাইন মিলে ম্যাচটি জেতাতে পারবেন? নিশ্চয়ই বিশ্বাস হয়নি খোদ তাদেরও।
তবে নাসিম শাহ অসাধ্য সাধন করলেন। শেষ ওভারের প্রথম দুই বলেই দুই ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিলেন এই লোয়ার অর্ডার।
লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৩০ রান। তবে শুরুতেই জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। দলীয় ১৮ রানের মধ্যে সাজঘরে ফিরে যান বাবর আজম আর ফাখর জামান।