পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ খুব কম সময় দেশের প্রথম সারির শিল্পপতিরা শাসক দলের সমালোচনা করার সাহস দেখান। কিন্তু ব্যতিক্রমী শিল্পপতি আছেন যারা পরিস্থিতি বিচার করে শাসক দলকে সঠিক পরামর্শ দেওয়ার সাহস দেখাতে পারেন।তেমনি এক শিল্পপতি হলেন গোদরেজ ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডাইরেক্টর নাদির গোদরেজ। সরকারকে তিনি বলেছেন আরও বেশি উদ্যোগী হয়ে দেশে ‘বিভাজনমূলক কাজকর্ম বন্ধ করতে।
তিনি সরকারের হয়ে দেশে ‘বিভাজনমূলক’ কাজকর্ম বন্ধ করতে। তিনি সরকারের কাছে আবেদন করেছেন দেশকে বিভাজিত করবেন না। যখন দেশের বড়বড় শিল্পপতি কোনও মন্তব্য করার ঝুঁকি নিতে চাননা তখন নাদির গোদরেজের বক্তব্যের একটা বিশেষ গুরুত্ব আছে। ২০১৯ সালে দেশের প্রথম সারির শিল্পপতি অধুনা প্রয়াত রাহুল বাজাজ বলেছিলেন দেশে এক ভীতির পরিবেশ রয়ছে যেখানে মানুষ সমালোচনা (সরকারের) করতে ভয় পান। গোদরেজ শিল্পগোষ্ঠীর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এক বই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গিয়ে সংবাদ সংস্থার কাছে তাঁর মতামত জানিয়েছেন। গোদরেজ বলেছেন, অর্থনীতির ক্ষেত্রে সরকার ভাল কাজ করছে। সরকার সবার জন্য্য আর্থিক বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে। শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রেও ভাল কাজ করছে সরকার।
কিন্তু যেটা আজ প্রয়োজন সেটা দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখা। দেশকে বিভাজিত করার রাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিৎ। দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখতেই হবে। আমি মনে করি সরকার নিশ্চই এটা বুঝতে পারছে যে দেশের আর্থিক উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন। আমাদের ঐক্যের উপর জোর দিতে হবে। দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে শিল্প সংস্থাগুলিরও কি কোনও ভূমিকা আছে? এই প্রশ্নের উত্তরে গোদরেজ বলেন, অবশ্যই আছে।
শিল্প সংস্থাগুলিকে দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে। গোদরেজ সেই অনুষ্ঠানে অন্য অনেক বিষয়ের উপর নিজের মত প্রকাশ করেছেন। তিনি চান দেশে মত প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করা হোক। বিরোধীদের কণ্ঠস্বর যেন রুদ্ধ করা না হয়। তিনি বলেন, একি প্রতিষ্ঠান গড়তে বহু সময় লাগে কিন্তু সেটা মুহূর্তে ভেঙে ফেলা যায়। শিল্পপতিরা শুধু লাভ করার নেশায় মেতে থাকলে হবে না। তাদের সামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে। দেশে অসমতা বেড়ে চলেছে। মানুষের মধে সমতা ফিরিয়ে আনতে হবে। পরিবেশ সচেতনতা সম্পর্কে গোদরেজ বলেন, সরকার এবং শিল্পসংস্থাগুলিকে পরিবেশ বাঁচাতে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের এক নতুন বিশ্ব গড়ে তুলতে হবে।একটি সবুজ বিশ্ব যেখানে কোনও অসমতা থাকবে না,কারোর মানবাধিকার হরণ হবে না। দেশের অর্থনৈতিক কাজকর্ম নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন গোদরেজ। জিএসটি আায়ের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াতেও খুশি তিনি। তবে বেড়ে যাওয়া মুদ্রাস্ফীতি উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।