টিনা প্রামাণিক,মালদহঃমাছ বিক্রেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হল ১কোটি ৪০ লক্ষ টাকা।রবিবাসরীয় সকালে গাজোল থানার ঘাকশোল এলাকার এক মাছ বিক্রেতার বাড়িতে অভিযান চালায় রাজ্য গোয়েন্দা দফতর।বাজারে মাছ বিক্রি করা ওই ব্যক্তির বাড়িতে টাকার পাহাড় দেখে চক্ষুচড়ক গাছ হয়ে যায় অভিযানকারী গোয়েন্দা কর্তাদের।বিষয়টি চাউর হতেই ঘাকসোল এলাকার মাছ বিক্রেতার বাড়ির সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেন অত্যুসাহী মানুষজন। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গাজোল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।এই তদন্তে নেতৃত্ব দেন মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুর রেঞ্জের এসপি (সিআইডি) আনিস সরকার। এমনকি টাকা গোনার জন্য নিয়ে আনা হয় আধুনিক একটি মেশিনও। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে চলে টাকা গোনার কাজ। মাছ বিক্রেতার বাড়ি থেকে মোট ১ কোটি ৩৯ লক্ষ ৩ হাজার ৫০ টাকা উদ্ধারের কথা জানান সিআইডি কর্তারা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাছ বিক্রেতার নাম জয়প্রকাশ সাহা। তাকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য গোয়েন্দা দপ্তরের কর্তারা। এই টাকার উৎস কি তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ও রাজ্য গোয়েন্দা দফতর।উল্লেখ্য, মালদহ থেকে গাজোল যাওয়ার পথে টোলপ্লাজা পেরিয়ে ঘাকসোল এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারেই রয়েছে ওই মাছ বিক্রেতার বাড়ি। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, নিম্নবিত্ত পরিবারের গৃহকর্তা জয়প্রকাশ সাহা। তিনি স্থানীয় এলাকার বাজারে মাছ বিক্রি করেন। আর সেই মাছ বিক্রেতার বাড়িতে এই টাকার পাহাড়ের হদিস মেলায় রীতিমতো চক্ষুচড়ক গাছ হয়ে গিয়েছে স্থানীয় গ্রামবাসীদের।
গোয়েন্দা দফতর সূত্রে জানা গেছে, জয়প্রকাশ সাহার এক শ্যালক ওম সাহা। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর এলাকায়। ওই ব্যক্তি বিভিন্ন ধরনের মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। কিছুদিন আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয় । এরপরই তাকে জেরা করে জানা যায় যে বিশাল পরিমাণ টাকা ওই ব্যক্তি তার জামাইবাবুর বাড়িতে মজুত রেখেছে। এরপরই গাজোলের ওই মাছ বিক্রেতা জয়প্রকাশ সাহার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখানে ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোটের অসংখ্য বান্ডিল উদ্ধার হয়েছে । উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ১ কোটি ৩৯ লক্ষ ৩ হাজার ৫০ টাকা।এ বিষয়ে মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুর রেঞ্জের এসপি (সিআইডি) আনিস সরকার জানান , এই ঘটনার সঙ্গে বেআইনি মাদক কারবার জোগসাজোগ রয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় বিভিন্ন তথ্য আমাদের কাছে উঠে এসেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু পরিষ্কার করে কিছু বলা সম্ভব নয় । তবে এই ঘটনার সঙ্গে মাদক কারবার জড়িত রয়েছে বলেও প্রাথমিক অনুমান করা হচ্ছে। মাছ বিক্রেতাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।