পুবের কলম প্রতিবেদক: একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল তৃণমূল। তার পরের দিনই একাধিক জায়গায় হানা দেয় সিবিআই ও ইডি। চলে ধরপাকড়। দুর্নীতি নিয়ে একাধিক ব্যক্তির নামে অভিযোগ থাকলেও টার্গেট করা হয় তাদেরই, এমনই অভিযোগ তৃণমূলের। রবিবার সেই অভিযোগই কিছুটা হলেও মান্যতা পাচ্ছে। কেননা- এ দিন কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় মোট সাত জায়গায় হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সব ক্ষেত্রেই তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বাড়িতেই হানা দিয়েছে সিবিআই। যা নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।
এ দিন হালিশহর পৌরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানি ঘনিষ্ঠদের ডেরা কাঁচরাপাড়া, হালিশহরে সিবিআই হানা দেয়। কাঁচরাপাড়া পৌরসভার চেয়ারম্যানের হালিশহরের বাড়িতেও সিবিআই আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গিয়েছিলেন। এখানেই থেমে থাকেনি সিবিআই। বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর হালিশহরের বাড়িতেও যান সিবিআই আধিকারিকরা। কাঁচরাপাড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারীর বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। কমল অধিকারী তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর ভাই।
জানা গিয়েছে, রাজু সাহানিকে গ্রেফতারির পর থাইল্যান্ডের একটি ব্যাঙ্কে তাঁর অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে। সিবিআই সূত্রে খবর, জেরায় রাজু জানিয়েছে, তাঁর থেকে অনেক সুবিধা নিয়েছেন সুবোধ অধিকারী। সেই সূত্রেই সুবোধের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই।
অন্যদিকে কাঁচরাপাড়া পুরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ঝুম্পা সিংয়ের বাড়িতেও সিবিআই হানা হয়েছে। কলকাতাতেও তল্লাশি চলছে বলে জানা গিয়েছে। সুবোধ অধিকারীর পৈতৃক বাড়ি জেঠিয়ায় এবং রাজু সাহানির আত্মীয়দের বাড়িতেও চলে সিবিআই তল্লাশি।হালিশহর-কাঁচরাপাড়া মিলিয়ে মোট সাত জায়গায় সিবিআই হানা দিয়েছে।
সিবিআই অভিযান নিয়ে তৃণমূলের বরিষ্ট সাংসদ সৌগত রায় বলেন, সিবিআই সিবিআই-এর কাজ করছে আমরা আমাদের কাজ করব। সিবিআই এখনও পর্যন্ত কিছু প্রমাণ করতে পারেনি।
এখানে-ওখানে রেড করছে, একে-তাকে অ্যারেস্ট করছে। প্রমাণ হবে কে দোষী আর কে নির্দোষ। আমরা তো বলছি কেন্দ্রীয় সরকার বিজেপি সিবিআই, ইডিকে ব্যবহার করছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। বিরোধীদের দাবিয়ে দিতে এটা করছে বিজেপি। সুবোধ অধিকারী তো কম, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও যেতে হচ্ছে ইডি-র কাছে। এইসব করে কিছু হবে না। যে দোষ করেছে, সে শাস্তি পাবে, যে দোষ করেনি, সে মুক্তি পাবে। মানুষ আমাদের সঙ্গে থাকবে।