পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ব্যাঙ্কের লকারে হানা দিয়ে কিছুই পাওয়া গেল না, প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে ক্লিনচিট পেয়েছি আমি ও আমার পরিবার।
সোমবার একটি ট্যুইট করে সিসোদিয়া লেখেন, সিবিআই ব্যাঙ্কের লকারে হানা দেবে, কিন্তু কিছুই পাবে না। সিবিআইকে স্বাগত’।
সিসোদিয়া আজ একটি ট্যুইট করে বলেন, ‘আমার লকারে ৭০ হাজার টাকার মেয়ের আর স্ত্রীয়ের গয়না আছে। আমি খুশি যে প্রধানমন্ত্রী আমার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছেন, আমার লকার তল্লাশি করেছেন, কিন্তু কিছুই পাওয়া যায়নি’। সিসোদিয়া জানিয়েছেন, সিবিআই আধিকারিকরা অভিযান চালানোর সময় খুব ভদ্র আচরণ করেছেন। তারা জানে যে কিছুই পাওয়া যাবে না। কিন্তু তাদের কিছু করার নেই। তারা প্রধানমন্ত্রীর চাপে আমাকে কয়েক মাসের জন্য জেলে রাখার জন্য কিছু খুঁজে বের করতে চাইছে’। ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল একটি ট্যুইট করে লেখেন, ‘দিল্লি উপ মুখ্যমন্ত্রী একটি নোংরা রাজনীতির শিকার।’ কেজরিওয়ালের আরও সংযোজন, আমি আশা করি কেন্দ্র এই নোংরা রাজনীতির খেলা বন্ধ করে আমাদের কাজ করতে দেবে’।
উল্লেখ্য, দিল্লির আবগারি নীতি লাগু করতে গিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে৷ এই নিয়ে জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে সিবিআই৷ শুরু হয়েছে তদন্ত৷ অভিযুক্ত ১৫ জনের তালিকায় নাম রয়েছে আম আদমি পার্টির নেতা তথা দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার।
আরও পড়ুন: স্বামীর নামাযে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ
এই মামলার তদন্তে গত ১৯ আগস্ট ৩১টি জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই৷ সেদিন তল্লাশি চালানো হয় মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতেও৷ তার পর থেকে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মণীশ সিসোদিয়া। তাঁর দাবি, বিজেপি তাকে আপ ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করতে বলেছিল, সেই কথায় আমল না দেওয়ায় তাকে হেনস্থা।