পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩ কোটিরও বেশি মানুষ। ধ্বংস হয়েছে ১০ লক্ষ ঘর, মারা গেছে ৮ লক্ষ গৃহপালিত পশু। ভয়াবহ বন্যায় পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় নতুন করে আরও ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে বন্যায় দেশটিতে প্রাণহানির সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছে। পাকিস্তান সরকার বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ঘোষণা করেছে। বন্যায় পাকিস্তানের অর্ধেকেরও বেশি ডুবে গেছে। এতে দুর্দশায় পড়েছে দেশটির লক্ষ লক্ষ মানুষ। বন্যায় দেশটিতে ১,৪৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৮ লক্ষ ২ হাজার ৫৮৩ গৃহপালিত প্রাণীর। একইসঙ্গে আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে ৪ লক্ষ ৯৮ হাজার ৮৩৩ জন।
দেশটির ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি জানায়, বন্যায় জুনের মাঝামাঝি থেকে ৩৪৩ জন শিশুসহ অন্তত ৯৩৭ জন মারা গেছে। বালুচিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশের বিশাল অংশ ডুবে আছে। ভয়াবহ এই বন্যা দেশটিতে ২০১০ সালের বিধ্বংসী বন্যার স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে। বালুচিস্তান প্রদেশে ২৩৪ জন ও দক্ষিণ সিন্ধু প্রদেশে ৩০৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
এ ছাড়াও এই দুই প্রদেশে ১০ লক্ষেরও বেশি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বন্যার কারণে ব্রিটেনে তার সফর স্থগিত করেছেন। তিনি কয়েক দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার মধ্যে মিত্র দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে তহবিলের জন্য আবেদন করেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেন, পঞ্জাব সরকার ডেরা গাজি খানে সেনা মোতায়েনের অনুরোধ করেছে। নাসিরাবাদ, ঝাল মাগসি, সোহবাতপুর, জাফরাবাদ ও লাসবেলা জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও সিন্ধু অঞ্চলের বন্যাকবলিত জেলাগুলিতে সেনা নামানো হয়েছে।