পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: প্রোমোটিংয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার ঘটনা ঘটল কলকাতার নারকেলডাঙায়। ঘটনায় প্রোমোটার সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জামিন অযোগ্যধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় যুক্ত হয়েছে শ্লীলতাহানির কেস। ওই গৃহবধূ আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল, কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষ মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দারের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই নারকেলডাঙা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
নারকেলডাঙা থানার সামনে বিজেপি মহিলা মোর্চার তরফ থেকে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। তাদের দাবি, পুলিশ নিরপেক্ষভাবে ঘটনার তদন্ত করুক।
কলকাতা পুলিশের ডিসি (ইএসডি) প্রিয়ব্রত রায় জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে । এই ঘটনায় অভিযোগকারী বাবা এবং ছেলেকে পুরনো একটি মামলায় আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
নারকেলডাঙার বাসিন্দা শিবশঙ্কর দাস এবং তাঁর ছেলে দীপক দাসের বক্তব্য, তাঁরা এলাকায় অবৈধ প্রমোটিং কারবারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তার ফলে স্থানীয় কাউন্সিলরের অনুগামীরা রবিবার কাউন্সিলরের সঙ্গে তাঁদের দেখা করতে বলেন। কিন্তু কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করেননি বলেই তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয় কাউন্সিলর এবং বিধায়কের অনুগামীরা। বাড়ির বয়স্ক থেকে শুরু করে মেয়েদেরও মারধর করা হয়। দীপকের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তার পেটে লাথি মারা হয়।
ঘটনায় বিধায়ক পরেশ বলেছেন, আমি ওই এলাকার কাজকর্ম দেখি না। পাশাপাশি যারা অভিযোগ করছে তাঁদের আমি চিনিও না ৷ ফলে এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই।