পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আজ ১৪ দিনের জেলা হেফাজতের মেয়াদ শেষে আজ পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হল। কঠোর নিরাপত্তায় আজ মুড়ে রাখা হয়েছিল ব্যাঙ্কশাল আদালত চত্বর।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এদিন সাংবাদিকদের তরফে প্রশ্ন করা হয়, ‘অনুব্রত মণ্ডলের পাশে থাকলেও, আপনার পাশে কেন নেই নেত্রী?’ তবে এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি তিনি।
এদিন পার্থর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আদালতে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। তবে জোর বিরোধিতা করেন, ইডির আইনজীবীরা।
পার্থর আইনজীবী আদালতে জানান, তার হিমোগ্লোবিন কমেছে, ক্রিয়েটিনিন বেড়েছে। শৌচাগারেও যেতেও অসুবিধা হচ্ছে।
এদিকে ইডির আইনজীবীদের জোর সওয়াল এই বয়সে এই ধরনের সমস্যা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এদিন আদালতে বেশ কিছুক্ষণ হাত জোর করে দাঁড়িয়েছিলেন পার্থ। তিনি বলেন, ‘কেউ ছাড় পাবে না।’
সম্প্রতি ইডির জেরার মুখে পার্থ জানিয়েছিলেন, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে তিনি চেনেন না। নাকতলা পুজোতে হয়তো তিনি আসতেন সেখানে হয়তো তিনি অর্পিতাকে দেখেছেন।
এদিকে আজ আদালতে জোর সওয়াল জবাব করেন ইডির আইনজীবীরা। আইনজীবীরা বলেন, অর্পিতার এলআইসিতে পার্থর নাম রয়েছে। এর থেকে আর বড় প্রমাণ আর কি দেওয়ার প্রয়োজন আছে? অর্পিতার এলআইসি প্রিমিয়াম জমা দেওয়ার মেসেজ আসছে পার্থর মোবাইলে। এর থেকে আর বড় আর কি প্রমাণ দেওয়ার প্রয়োজন আছে পার্থ ও অর্পিতার ঘনিষ্ঠতার সম্পর্কে?
এদিকে ইডির আইনজীবীর আরও সওয়াল পার্থ একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। জেলের মধ্যেই নথি নষ্ট করে দিতে চেয়েছিলেন। তাই এই ধরনের প্রভাবশালীকে জামিন দিলে তিনি তদন্তে আরও প্রভাব খাটাতে পারেন।
অসুস্থতার প্রশ্নে ইডির আইনজীবীর আরও সওয়াল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অসুস্থ হলে জেলা সুপারকে নির্দেশ করা যেতে পারে, যাতে জেলেই তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
অন্যদিকে পার্থর বিস্ফোরক বক্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনীতিতে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। কার দিকে ইঙ্গিত করে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এই বক্তব্য রাখলেন সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে কালো কাচ তলা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুমো গাড়িতে নিয়ে আসা হয় আদালতে। যা বিশেষজ্ঞদের কথায়, ‘ভিআইপি ট্রিটমেন্ট’! তাঁকে আজকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়নি। কলকাতা পুলিশের কালো কাচ তোলা সুমো গাড়িতেই নিয়ে যাওয়া হয় পার্থকে। একেবারে প্রথমে কলকাতা পুলিশের একটি গাড়ি, তারপর স্করপিও, তারপরের গাড়িতে ছিলেন পার্থ। তবে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে কিন্তু প্রিজন ভ্যানেই নিয়ে যাওয়া হয় আদালতে।