পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ‘আমার মেয়ে পাস করা, ওর সার্টিফিকেট আছে। মেয়েকে হাই কোর্ট তলব করেনি। সার্টিফিকেট জমা দিতে বলা হয়েছে। এই নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডলকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেন, দিদি তো আপনার পাশে আছেন। অনুব্রত বলেন, দিদি তো ঠিকই বলেছেন, অন্যায় কিছু বলেননি। নেত্রী হিসেবে ঠিকই বলেছেন। কেউ চক্রান্ত করেনি। সবাই আমার পাশে আছে। তবে শরীরটা ঠিকঠাক নেই।’
চিনার পার্কের বাড়ি হয়ে হাইকোর্টে এলেন অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা। টেটের শংসাপত্র নিয়ে আজ হাইকোর্টে আসার নির্দেশ। সেই মতো আজ হাই কোর্টে এসেছেন বলেই খবর।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের বিরুদ্ধে টেট পাশ না করে শিক্ষাকতা করার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আইনজীবী ফিরদৌস শামিম এই মামলা দায়ের করেছেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে ওঠা মামলায় বুধবার অভিযোগ করা হয়েছে, অনৈতিক ভাবে, টেট পাশ না করেই স্কুলের চাকরি পেয়েছেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা। বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটের মধ্যে সশরীর হাজিরার নির্দেশ জারি করেছে আদালত। শুধু সুকন্যা মণ্ডল নয়, সঙ্গে আরও কয়েকজনের নিয়োগ ঘিরে আজ সশরীর হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে।
এদিন আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ‘বৃহস্পতিবার অনুব্রত-কন্যা-সহ তাঁর পাঁচ আত্মীয়কে দুপুর তিনটের মধ্যে হাইকোর্টে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে।’
মামলাকারীর অভিযোগ, ‘চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর সুকন্যা কোনওদিন স্কুলেই যাননি। বরং স্কুল তার বাড়িতে চলে আসত।’ অর্থাৎ হাজিরা খাতায় নাকি বাড়িতে বসেই সই করে দিতেন সুকন্যা। আজ যাঁদের আদালতে তলব করা হয়েছে, সেই তালিকায় সুকন্যা ছাড়াও রয়েছে সুমিত মণ্ডল, অর্ক দত্ত, সাত্যকি মণ্ডল, কস্তুরী চৌধুরী, সুজিত বাগদিকে। এঁরা সকলেই অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, যাঁরা স্কুল শিক্ষক, শিক্ষিকার চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
এদিন অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যাকে জেরা করতে বোলপুরের বাড়িতে গিয়েছিল সিবিআই। তবে তাঁর মানসিক অবস্থা ঠিক নেই বলে সিবিআই’কে জানান সুকন্যা। মিনিট ২০ পরে সিবিআই-এর দল সেখান থেকে বেরিয়ে আসে। এখন দেখার আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সুকন্যা-সহ মণ্ডল পরিবার হাইকোর্টে আসে কিনা! প্রথামিক শিক্ষিকার চাকরি পেলেও কোনও দিনও স্কুলে পড়াতে যাননি সুকন্যা মণ্ডল।