পুবরে কলম প্রতবিদেক: সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে হয়তো পুজোতে চালু হওয়ার সম্ভবনা জোকা-তারাতলা মেট্রো রেল পরিষেবা। আর জমি-জট কাটিয়ে প্রস্তুত হল এই জোকা মেট্রো। ৭০ একর জমির ওপরে কারশেড তৈরির পরিকাঠামো প্রায় সম্পূর্ণ। ওয়াশিং পিট, মেইনটেন্যান্স পিট কার্যত প্রস্তুত। বসানো হয়ে গিয়েছে থার্ড রেল। ট্রায়ালের জন্য যে রেক এসেছে। তা চালিয়ে দেখা হচ্ছে কারশেডে। মেট্রো কর্তৃপক্ষ আশাবাদী, তারা পুজোর সময়ে পরিষেবা চালু করতে পারবে।
এই প্রকল্পের অর্ধেক অংশে জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত মেট্রো চলবে। জোকা, ঠাকুরপুকুর, সখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা,, বেহালা বাজার ও তারাতলা এই ছয়টি স্টেশন নিয়ে চলতি বছরে শুরু হবে মেট্রো পরিষেবা। নোয়াপাড়া কারশেডে অবসর জীবন কাটানো মেট্রো রেককে নিয়ে আসা হয়েছে জোকায়। তাতেই আপাতত চলবে মহড়া। ট্রায়াল রান অবশ্য হবে আধুনিক সিগন্যাল ছাড়াই। কারণ জোকা কারশেডের কাজ সবে শুরু হয়েছে। ফলে কারশেড সম্পূর্ণ না হলে আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা বসানো যাবে না। তবে বর্তমানে যে, সিগন্যাল ব্যবস্থা আছে, তা দিয়েই চলবে মেট্রো।
জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত হবে ট্রায়াল রান। ইতিমধ্যেই লাইন বসানো হয়েছে এই অংশে। আত্মনির্ভর প্রকল্পে প্রথম কাজ শুরু হয়েছিল কলকাতা থেকে। শুরু হয়েছিল জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো প্রকল্পে লাইন পাতার কাজ। ইউরোপ নয়, ছত্তিসগড় থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছেছিল ইস্পাতের রেল। আরভিএনএল সূত্রে খবর, জোকা ডিপো থেকে মাঝেরহাট অবধি প্রায় ১০ কিমি লাইন পাতার মতোই ইস্পাত এসে পৌঁছে গিয়েছিল। কাজও শেষ।
যে সংস্থা এই লাইন পাতার কাজ করবে, তাদের প্রতিনিধিরাও এসে গিয়ে কাজ শেষ করে দিয়েছেন। জোকা ডিপো থেকে তারাতলা পর্যন্ত মেট্রোর স্টেশন বিল্ডিং নির্মাণের কাজও শেষ। এবার এই পথে শুরু হতে চলেছে মেট্রোর ট্রায়াল রানের কাজ।
পণ্যবাহী ট্রেন বা মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন যখন চলাচল করে তখন রেললাইনের উপর তার ভার অনেক বেশি হয়। সেই তুলনায় মেট্রোর ভার অনেকটা কম। কিন্তু মেট্রো পরিষেবা যেহেতু ঘন ঘন হয়, তাই রেলের ওপরে ঘর্ষণ এবং তাপ এতটাই উৎপন্ন হয় যে, কাজ অনেক বেশি নিখুঁত ও সচেতনতার সঙ্গে করতে হয়। আরভিএনএল-এর আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, মেট্রো লাইন হয় সুড়ঙ্গ, নয়তো মাটির অনেক উপরে হয়। ফলে এখানে লাইন বদলানো খুব একটা সহজ ব্যপার নয়। তাই কমপক্ষে ১০০ বছর ধরে পরিষেবা দিতে হবে, এমন ভেবেই এই রেল বা ইস্পাত নিয়ে আসা হয়েছে।