নয়াদিল্লি: দিল্লি পুলিশের কমিশনার বদলের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। নতুন কমিশনার পদে নিযুক্ত হতে চলেছেন সিবিআইয়ের প্রাক্তন স্পেশাল ডিরেক্টর তথা বিএসএফ প্রধান রাকেশ আস্থানা। দিল্লি কমিশনার পদে রাকেশ আস্থানা দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। এই পদে আস্থানাকে নিযুক্ত করতে তাঁর চাকরির মেয়াদ একবছর বাড়ানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।কংগ্রেস এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্রের হঠকারিতা ও সুপ্রীম কোর্টকে অবজ্ঞা বলে মন্তব্য করেছে।
দলীয় সদর দফতরে এক সংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা বলেছেন, “বিতর্কিত আইপিএস অফিসার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীল চোখের ছেলে রাকেশ আস্থানা আবারও খবরে ফিরে এসেছেন।” তিনি আরও বলেন, ১৯৮৪ ব্যাচের গুজরাট ক্যাডার অফিসারের চাকরির মেয়াদ শেষ, অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন-স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তাকে দিল্লির পুলিশ কমিশনার নিয়োগ করেছেন, তার চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ।এটি কেবল আন্ত-ক্যাডার নিয়োগের ইস্যু নয়, বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট এবং দেশের আইন-কানুনের প্রতি অসম্মানজনক অবহেলার আরেকটি দৃষ্টান্ত বলে তিনি অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ৩০ জুন এসএন শ্রীবাস্তবের অবসর নিলে পর বালাজি শ্রীবাস্তবকে দিল্লি পুলিশের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। সেই সময় কোনও ইঙ্গিত মেলেনি যে তাঁকে এই পদ থেকে সরানো হতে পারে। এদিকে রাকেশ আস্থানার চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হলে মনে করা হয়েছিল তাঁকে সিবিআই প্রধান পদে ফের নিযুক্ত করা হতে হতে পারে।
রাকেশ আস্থানা ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসের ১৯৮৪ সালের ব্যাচের গুজরাত ক্যাডরের অফিসার। ৩১ জুলাই তাঁর অবসর নেওয়ার কথা ছিল। তবে মঙ্গলবারই তাঁর চাকরির মেয়াদ একবছর বাড়ানো হয় কেন্দ্রের তরফে। এর আগে রাকেশ আস্থানা নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি-র প্রধান হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। ২০১৮ সালে তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন তত্কালীন সিবিআই প্রধান অলোক বর্মা। তবে সেই অভিযোগ থেকে মুক্ত হয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিশেষ ডিরেক্ট পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। তবে ২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি অলোক বর্মার পাশাপাশি আস্থানাও সিবিআই ছেড়ে দেন। এর আগে সিবিআই প্রধান পদে আস্থানাকে নিয়োগের ইচ্ছা ছিল কেন্দ্রের। তবে তখন দেশের প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ছয় মাসের কম মেয়াদ থাকা কোনও আধিকারিককে প্রধান পদে বসানো ঠিক নয়।