দেবশ্রী মজুমদার, বোলপুর: গরুপাচার মামলায় তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে অনুব্রতকে গ্রেফতার করল সিবিআই।
বুধবার রাতেই বোলপুর রতন কুঠি গেস্ট হাউসে হাজির হয় সিবিআইয়ের একটি দল। বৃহস্পতিবার সকাল নটা পঁয়ত্রিশ নাগাদ অনুব্রত মণ্ডলের নীচুপট্টির বাড়িতে হাজির হয় সিবিআই আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্যর নেতৃত্বে আট থেকে দশ জনের একটি টিম।
সেই সময় অনুব্রত মণ্ডল ঠাকুরঘরে ছিলেন। সেখান থেকে বের হওয়ার পর সিবিআই আধিকারিকরা তাঁকে বাড়িতেই প্রায় এক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জানতে চাওয়া হয়, তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে গরুপাচার-কাণ্ডে কী কী কথা হত? অনুব্রত মণ্ডল সে-প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেলে তাঁকে বলা হয়, সমস্ত নথি ও তথ্যপ্রমাণ তাদের কাছে আছে।
অনুব্রত মণ্ডলকে দ্বিতীয় দফায় প্রশ্ন করা হয় যে, গরুপাচার-কাণ্ডে এনামুল হক নামে কোনও ব্যক্তিকে তিনি চেনেন কি না? প্রশ্ন শুনে অনুব্রত মণ্ডল জানান, তাঁর শরীর ভালো লাগছে না। ফলে তিনি সিবিআই-এর প্রশ্নের উত্তর দিতে অপারগ। এরপরে তাঁকে প্রশ্ন করা হয় যে, তিনি বীরভূমে একটি গরুর হাটের সঙ্গে যুক্ত কি না? এক কথায় অনুব্রত উত্তর দিয়ে দেন। বলেন, এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমার কিছু জানা নেই। আমি এই সমস্ত বিষয়ে কোনও কিছু জানি না।’ তারপর আধিকারিকরা দিল্লির ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। সেখান থেকে নির্দেশ পেয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই টিম। অ্যারেস্ট মেমোয় সই করেন অনুব্রত মণ্ডল। তার আগে দিনের শুরুতেই সিবিআইয়ের একটি টিম অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বেশকিছু নথিপত্র এবং পেন-ড্রাইভ উদ্ধার করেন আধিকারিকরা বলে সূত্রের খবর।
এ দিকে এ দিন সকাল থেকেই অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির সামনে ভিড় জমতে শুরু করে। তাদের মধ্যে অনেকেই বলেন, আমরা সত্যিটা জানতে চাই। দুই-একজন মহিলা বলেন, উনি মানুষের পাশে থাকতেন।’
জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের সঙ্গে অসহযোগিতার অভিযোগে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর বেলা এগারোটা নাগাদ অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল নিয়ে যায় সিবিআইয়ের টিম। তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।