তিরুবন্তপুরম ২৮ জুলাই: পণ চাওয়া যেমন অপরাধ। তেমনি পণ দেওয়াও সমান অপরাধ। কিন্তু তারপরেও প্রশাসনের নজরের ফাঁক দিয়ে চলে আসছে বর্বরোচিত এই সামাজিক প্রথা। এবার পণপ্রথা আটকাতে অভিনব উপায় বের করল পিনারাই বিজয়ন সরকার।
কেরলের সব পুরুষ সরকারি কর্মচারীকে বিয়ের এক মাসের মধ্য়ে কর্তৃপক্ষের কাছে এই মর্মে ঘোষণাপত্র দিতে হবে, তিনি বিবাহিত কিনা, হলে কবে বিয়ে করেছেন, বিয়েতে স্ত্রীর পরিবারের কাছ থেকে পণ বাবদ কিছুই নেননি। শুধু তাই নয়, সেই ঘোষণাপত্রের তথ্য যে সঠিক, তা নিশ্চিত করতে তাতে সই করবেন কর্মীর স্ত্রী, বাবা ও শ্বশুরমশাই। এ ব্যাপারে সার্কুলার দিয়েছে সরকারের মহিলা ও শিশুকল্যাণ দপ্তর।পণ নিলে বা এ ব্যাপারে হয়রানি করলে কঠোর শাস্তি হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ঘোষণা করেছেন।
সম্প্রতি কেরলে নিষ্ঠুর পণপ্রথার জেরে একাধিক বিবাহিত মেয়ের মৃত্যু, আত্মহত্যার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। গত জুনের এক সপ্তাহেই পণের জন্য স্বামী, শ্বশুরবাড়ির চাপ, নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিন যুবতী আত্মহত্যা করেন। এরপরই নড়েচড়ে বসেছে পিনারাই বিজয়ন সরকার।
তার ফলস্বরূপ পণ নিষিদ্ধকরণ সংশোধনী নিয়মাবলী ২০২১ গৃহীত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পণ দেওয়া ও নেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে। পণ নিলে জেল হতে পারে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর ও জরিমানা হতে পারে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা। পণ দাবি করাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে। শুধু তাই নয়, ২৬ নভেম্বর পণ বিরোধী দিবস পালন করবে কেরল সরকার। সেদিন স্কুল পড়ুয়ারা শপথ নেবেন, আগামী দিনে তারা পণ নেবে না , পণ দেবেও না।