কৌশিক সালুই বীরভূম:- করোনা ভাইরাস মহামারী পরিস্থিতিতে বিগত দু’বছর ছিল পঠন পাঠন বন্ধ। আর বর্তমানে সেই অবস্থা স্বাভাবিক হয়েছে। জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঠন পাঠন সহ আরো কয়েকটি বিষয় নিয়ে উৎকর্ষতা বাড়াতে এক অভিনব প্রতিযোগিতা আয়োজন বীরভূম জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের। জেলা জুড়ে প্রতিটি চক্রের সেরা প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পুরস্কৃত করা হলো। বুধবার সিউড়িতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেরা স্কুলগুলির হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক বিধান রায়, বীরভূম জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ড: প্রলয় নায়েক সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা।
বিগত মহামারী পরিস্থিতিতে দু বছর পঠন-পাঠন বন্ধ থাকার ফলে গ্রাম বাংলার প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলির পড়ুয়াদের শিক্ষার মান একদম তলানিতে চলে যায়। বর্তমানে সেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে। স্কুল ও পড়ুয়াদের উৎকর্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজ্যের মধ্যে প্রথম বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ জেলার তিনটি মহকুমার ৩২টি চক্রের ২৪০১ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর মধ্যে উৎকর্ষ বিদ্যালয় অন্বেষণ ২০২২ পুরস্কার প্রতিযোগিতা শুরু করেছে।
উপস্থিতি ও নিয়মানুবর্তিতা ( ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা উভয়ই), বিদ্যালয় সংক্রান্ত সমস্ত ব্যবস্থাপনা,সাধারণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা,সংস্কৃতি, খেলা এবং সামাজিক কার্যাবলি,পাঠ-মূল্যায়ন,সামাজিক সম্পর্ক, মিড-ডে-মিল ব্যবস্থাপনা,স্বাস্থ্যবিধি সহ পানীয় জল, বিদ্যুৎ, টয়লেট,কিচেন গার্ডেন এবংবিশেষ কাজকর্ম প্রভৃতি বিষয়গুলি প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নজর দেওয়া হয়েছে এই প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে।
বিগত জুলাই মাসের বীরভূম জেলার ৩২ টি সার্কেলের ৩২ টি সেরা স্কুলকে এদিন সিউড়িতে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ কার্যালয়ে পুরস্কৃত করা হলো। প্রতি তিন মাস অন্তর তাদের মধ্য থেকে মহাকুমার সেরা এবং বছর শেষে জেলার সেরা স্কুলকে এই পুরস্কার দেওয়া হবে।
বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ড: প্রলয় নায়েক বলেন,”সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উৎকর্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজ্যের মধ্যে প্রথম এই প্রতিযোগিতা শুরু করা হয়েছে। যাতে এই অভিনব প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্কুল গুলির পঠন-পাঠন সহ সার্বিক উন্নয়ন হয়”।