পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ শনিবার পার্কস্ট্রীটে ঘাতক জওয়ান অক্ষয় মিশ্রকে গ্রেফতারের পর নিয়ে যাওয়া হয় নিউমার্কেট থানায়। এরপর চলে জিজ্ঞাসাবাদ। আজ রবিবার আদালতে পেশ করা হয় ওই সিআইএসএফ জওয়ানকে। বিচারপতি অক্ষয়ের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। ওই ঘাতক জওয়ানের হয়ে কোন আইনজীবী আদালতে সওয়াল করতে রাজি হননি।
কেন এই ভাবেই আক্রমণাত্বক হয়ে উঠলেন অক্ষয়? সামনে আসছে অনেকগুলো প্রশ্ন। বাবার মৃত্যুর পর ছুটি চেয়েও পাননি, অনিচ্ছাস্বত্বেও অমরনাথে পাঠানো হয় ডিউটিতে। কোথাও কি মনের মধ্যে জমে ছিল ক্ষোভ। সেটাই বহিঃপ্রকাশ হয়।
অন্যদিকে শনিবারের এই ঘটনার পর ভারতীয় যাদুঘর কর্তৃপক্ষ সিধান্ত নিয়েছেন জাদুঘরের প্রবেশপথে আর কোনও সিআইএসএফ জওয়ানের হাতে থাকবেনা আগ্নেয়াস্ত্র।
শনিবার রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনায় তখন টানটান পার্কস্ট্রিটের ভারতীয় যাদুঘর সন্নিহিত অঞ্চল।সিআইএসফ জওয়ান নিজের একে ৪৭ থেকে চালাচ্ছেন গুলি। মৃত্যু হয়েছে একজনের। ব্যারাকের মধ্যে রয়েছেন আরও জওয়ানরা। কি পরিস্থিতি বুঝতে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে তখন ভেতরে ঢুকছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
শেষমেশ প্রায় দেড় ঘন্টা পর হামলাকারী জওয়ান অক্ষয়কে আত্মসমর্পণে বাধ্য করে কলকাতা পুলিশ। একে ৪৭ পুলিশের হাতে তুলে দেন অক্ষয়। তাঁকে গ্রেফতার করে গাড়িতে তোলা হয়। কিন্তু গাড়ি থেকে রীতিমতো হাসি মুখে হাত নাড়তে দেখা যায়।অক্ষয় নিজে এবং রঞ্জিৎ যিনি অক্ষয়ের গুলিতে নিহত হলেন দুজনেই ওড়িশার বাসিন্দা। এতবড় কান্ড ঘটিয়ে নেই কোন অনুতাপ। রীতিমতো হাসছেন।তবে কি অত্যধিক কাজের চাপ, দিনের পর দিন ছুটি না পাওয়া, পরিবারের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া। মানসিক ভারসাম্যহীনতা ডেকে আছে। উঠছে প্রশ্ন।