পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। দুসপ্তাহের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৮ আগস্ট ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করা হবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে যাওয়া হল প্রেসিডেন্সিতে ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে রাখা হবে আলিপুর জেলে।
১২ দিনের ইডি হেফাজতের শেষে আজ তাদের দুজনকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। তার আগে ইএসআই হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করা হয় পার্থ ও অর্পিতার।
আদালতে পার্থ আইনজীবী জানান, তার মক্কেল বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, ডিড যা উদ্ধার হয়েছে তা সমস্ত নকল। কোনও ঘুষ নেননি তিনি। ঘুষ নেওয়ার কোনও প্রমাণ মেলেনি।
‘প্রভাবশালী তকমা’ উড়িয়ে দিয়ে আইনজীবী জামিনের আবেদন জানিয়ে বলেন, উনি এখন সাধারণ মানুষ। ওনার বয়স ৭২ বছর। উনি কোথাও পালানোর লোক নয়। কোনও হাসপাতালে ভর্তি হয়ে তার শারীরিক পরীক্ষার প্রয়োজন। তাই যেকোনও শর্তেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জামিন দেওয়া হোক। আদালতে পার্থর আইনজীবীর দাবি, পার্থ ও অর্পিতার মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বলির পাঁঠা করা হয়েছে।
ইডির অসহযোগিতা তকমায় পার্থর আইনজীবীর দাবি, কিভাবে বলা হচ্ছে এই অসহযোগিতার কথা। ইচ্ছের বিরুদ্ধে কোনও মানুষকে কিছু সই করতে বললে সে কেন সই করবে?
এদিকে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী আজও অর্পিতার জামিনের আবেদন জানাননি। তবে আইনজীবী জানিয়েছেন, অর্পিতা একজন উচ্চ শিক্ষিতা। তাকে ডিভিশন-১ প্রিজনারের পদমর্যাদা দেওয়া হোক। তার প্রাণহানির হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জল, খাওয়ার যা দেওয়া হবে তা যেন আগে পরীক্ষা করে দেওয়া হবে।
ইডির আইনজীবীরা আদালতে জানিয়েছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জেল হেফাজত চান। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় তদন্তে কোনও সহযোগিতা করছেন না। তাই জেলে গিয়ে তারা পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান।
আজ ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর আজ তাদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। সেখানে সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি পার্থ। তাকে চুপ থাকতেই দেখা যায়। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অর্পিতা বলেন, ‘ইডিকে আমি আমার স্টেটমেন্ট দিয়েছি।’