পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ তাইওয়ানের সমুদ্রতটের কুড়ি কিলোমিটার দূরে সামরিক মহড়া শুরু করেছে চিন। চিনের এই মহড়াকে আঞ্চলিক সুরক্ষার জন্য হুমকি হিসাবে দেখছে তাইওয়ান। তাইওয়ানের জলসীমা লক্ষ্য করে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলা দেগেছে চিন।
আমেরিকার সংসদ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফুঁসছে চিন। পেলোসি চলে যাওয়ার একদিন পর তাইওয়ানকে দমিয়ে রাখতে ও শক্তিপ্রদর্শনে তাওয়ান প্রণালীর জলপথে ও আকাশপথে বিরাট পরিসরে মহড়া শুরু করেছে চিনা সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যে তাওয়ান দ্বীপের জলসীমায় গুলি ও মিসাইল নিক্ষেপ করেছে চিন। এ নিয়ে যুদ্ধের আশঙ্কা করছে বিশ্লেষদের একাংশ। তাইওয়ানের আশপাশের ৬টি এলাকায় চিনের লাইভ-ফায়ার ড্রিল শুরু হয়েছে যা চলবে ৭ আগস্ট পর্যন্ত। একইসঙ্গে তাইওয়ানের আকাশসীমা ঘনঘন লঙ্ঘন করছে চিনা ফাইটার জেট। তাইওয়ান বলছে, চিনের এই পদক্ষেপের ফলে ১৮টি আন্তর্জাতিক রুট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাইপেইয়ের দাবি, মহড়াগুলি রাষ্ট্রসংঘের নিয়ম লঙ্ঘন করছে। কারণ, এভাবে তাইওয়ানের আকাশ ও সমুদ্রপথ পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। চিনের সরকারি মিডিয়া অবশ্য জানিয়েছে, এই কুচকাওয়াজ হল প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। এ সময় গোলাবারুদ ছোড়া হবে। তাইওয়ানের সমুদ্রতটের ২০ কিলোমিটার দূরে এই ড্রিল হচ্ছে। তবে এই সামরিক শক্তিপ্রদর্শন যে স্রেফ চিনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নয়, তা এর বহর দেখলেই টের পাওয়া যায়। তাইওয়ান বলছে, এই সামরিক ড্রিল আঞ্চলিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে হুমকি। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘চিন অযৌক্তিক কাজ করছে।’
এই পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে তাইপেই। এদিকে, ইইউ-এর বিদেশ বিষয়ক আধিকারিকজোসেপ বোরেল চিনের এই সামরিক ড্রিলের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই ড্রিলের কোনও যৌক্তিকতা নেই। জি৭-ও একই কথা বলেছে। তাদের মতে, এর ফলে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়বে। তাইওয়ানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, চিনের এই মহড়া তারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তাইপেই কোনও সংঘাত চায় না। তবে তারা প্রস্তুত রয়েছে।