পুবের কলম প্রতিবেদক: কলকাতায় একাধিক জায়গায় গজিয়ে উঠেছে মোবাইল টাওয়ার। যার অধিকাংশই নাকি বেআইনি। কর ফাঁকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে বহু জায়গায়। এবার এই সমস্ত টাওয়ারগুলি চিহ্নিত করে ভাঙার কাজ শুরু করবে কলকাতা পুরসভা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে সেই প্রক্রিয়া।
নিয়ম অনুযায়ী, বাড়ি ও আবাসনে মোবাইল টাওয়ার বসানোর ক্ষেত্রে ‘ছাড়পত্র’ নিতে হয় কলকাতা পুরসভার কাছে। বাড়ির কাঠামো কতটা মজবুত, মাটির চরিত্র কেমন, যে নির্মাণের ওপর টাওয়ার বসানো হবে, সেটি বৈধ কি-না, নির্মাণের ‘নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট’, আছে কিনা, এই সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে তবেই ছাড়পত্র দেয় পুরসভা। তাছাড়া বাড়ির মালিক নিয়মিত সম্পত্তি কর দেন কিনা, সেই বিষয়েও খোঁজ-খবর নেওয়া হয়। একইসঙ্গে মোবাইল টাওয়ার বসাতে হলে ‘দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ’ ও ‘দমকল’-এর ছাড়পত্র থাকাটাও বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি যে, সংস্থা টাওয়ার বসাচ্ছে, তার লাইসেন্স থাকা আবশ্যিক। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই এসব নিয়ম মানা হয় না বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, বাড়ি কিংবা বহুতলের ছাদে একটি টাওয়ার বসাতে ২ লক্ষ টাকা দিতে হয় পুরসভাকে। অনেকেই সেই কর ফাঁকি দেওয়ার অপচেষ্টা করেছেন এক্ষেত্রে।
এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার আলো বিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপ রঞ্জন বক্সী জানান, শহরে ইদানীংকালে শহরে মোবাইল টাওয়ারের সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। তবে মোবাইল টাওয়ার লাগানোর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট আইন থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা মানা হচ্ছে না। কারণ মোবাইল টাওয়ার বসানো হলে মোটা টাকা ভাড়া পাওয়া যায়। আর সেই লোভেই বাড়ির ও আবাসনের ছাদে বেআইনিভাবে মোবাইল টাওয়ার বসাচ্ছেন মালিকরা। সেই টাওয়ারগুলি চিহ্নিত করে ভেঙে ফেলা হবে।
সম্প্রতি পুর অধিবেশনে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, শহরে কোনও অবৈধ মোবাইল টাওয়ার থাকলে তা ভেঙে দেওয়া হবে। সেই মতোই কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান মেয়র পারিষদ (আলো)। অন্যদিকে, বেশ কয়েকটি টেলিকম সংস্থা ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মোবাইল টাওয়ারগুলি এখনও সরানো হয়নি। খুব দ্রুত সেগুলিকেও চিহ্নিত করে ভেঙে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।