পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ রাজ্য মন্ত্রিসভায় ৮ নতুন মুখ। আজ শপথ নিলেন তারা। রাজভবনে তাদের শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল লা গণেশন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে শপথ নিলেন মন্ত্রিসভার নতুন মন্ত্রীরা। এদের মধ্যে পূর্ণ মন্ত্রী হচ্ছেন বাবুল সুপ্রিয়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, পার্থ ভৌমিক, উদয়ন গুহ, প্রদীপ মজুমদার। প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন তাজমুল হোসেন, সত্যজিৎ বর্মণ। স্বাধীন ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, বিপ্লব রায়চৌধুরী।এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কে কোন মন্ত্রিত্ব পেলেন?
১ উদয়ন গুহ: বামফ্রন্ট আমলে কৃষিমন্ত্রী কমল গুহর ছেলে উদয়ন বাবার হাত ধরেই রাজনীতিতে এসেছিলেন। কমল বামফ্রন্টের শরিক দল ফরোয়ার্ড ব্লকের প্রভাবশালী নেতা হিসাবে দীর্ঘদিন দিনহাটার বিধায়ক ছিলেন।২০১৬ সালে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন।২০২২ শের দিনহাটার উপনির্বাচনে লক্ষাধিক ভোটে জিতে তৃতীয়বারের জন্য বিধায়ক হন উদয়ন। এদিন উত্তরবঙ্গের উন্নয়নমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হলেন তিনি।
২ তাজমুল হোসেন: উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধি হিসাবে রাজ্যের মন্ত্রিসভায় আসেন তাজমুল হোসেন। উদয়নের মতোই মালদহের হরিশচন্দ্রপুর থেকে তিন বারের বিধায়ক তাজমুলও প্রাক্তন ফরোয়ার্ড ব্লক নেতা।এদিনের সভায় ক্ষুদ্র, ছোটো, মাঝারি শিল্প এবং বস্ত্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন তাজমুল হোসেন।
৩ বাবুল সুপ্রিয়: তথ্য প্রযুক্তি ও পর্যটন মন্ত্রী হিসেবে তাঁকে এদিন নিযুক্ত করা হল। রাজনৈতিক জীবনের বিজেপীর প্রার্থী হয়ে আসানসোলের সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হলেও পরে তৃণমূলে যোগদান করলে, ২০২২ এর উপনির্বাচনে বালিগঞ্জে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন।
৪ স্নেহাশিস চক্রবর্তী: স্নেহাশিস হুগলি জেলার রাজনীতিতে পরিচিত মুখ। তৃণমূলের মুখপাত্র হিসাবে তাঁকে প্রায়শই বিভিন্ন চ্যানেলের বিতর্কে তাঁকে দেখা যায়।এদিনের সভায় পরিবহণ মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
৫ পার্থ ভৌমিক: তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার রাজনীতিতে মুকুল রায়ের ‘অতি-ঘনিষ্ঠ’ নেতা হিসাবে পরিচিত তৃণমূল নেতা পার্থ ভৌমিক। এক সময়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতিও হন পার্থ। পরে ২০১১ সালে নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে প্রথম বারের জন্য বিধায়ক হন।সেচ ও জলপথ মন্ত্রী হলেন পার্থ ভৌমিক।
৬ প্রদীপ মজুমদার: রদবদলের পর বাংলার মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রীর জায়গা পেলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি দফতরের প্রধান উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার। ভোটের রাজনীতিতে প্রথম দিকে দেখা না গেলেও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রদীপকে দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের প্রার্থী করেন দলনেত্রী মমতা।এদিনের রদবদলের সভায় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি।
৭ বিপ্লব রায়চৌধুরী: আদি তৃণমূলের ‘অন্যতম যোদ্ধা’ হিসাবে পরিচিত বিপ্লব রায়চৌধুরী তাঁর পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির জন্য দলের অন্দরে খ্যাত।এদিন মন্ত্রিসভায় রদবদলের পর মৎস্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি।
৮ সত্যজিৎ বর্মণ: রাজ্যের মন্ত্রিসভায় রদবদলের পর শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীহিসেবে নিযুক্ত হলেন সত্যজিৎ বর্মণ। চল্লিশের কোঠা পার করা তৃণমূল নেতা সত্যজিতের বাংলার রাজনীতিতে আগমন ২০০১ সালে। প্রথম জীবনে কংগ্রেসের সদস্য হলেও ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের পর তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রায়গঞ্জ ২ নম্বর ব্লক থেকে জিতে উত্তর কর্মাধ্যক্ষ হন বিশ্বজিৎ।
এছাড়াও পরিষদীয় মন্ত্রী এবং কৃষি মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এবং তাঁর হাতে আগে থেকেই কৃষি দফতর ছিল। অন্যদিকে শিল্প এবং বাণিজ্য মন্ত্রী হন শশী পাঁজা। তাঁর হাতে নারী ও শিশুকল্যাণ দফতর থাকছে।জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি এবং পূর্ত দফতরের দায়িত্ব পান পুলক রায়। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত (স্বনির্ভর-স্বনিযুক্তি গোষ্ঠী) মন্ত্রী হন বীরবাহা হাঁসদা।আবাসন মন্ত্রী: অরূপ বিশ্বাস। তাঁর হাতে আগে থেকেই বিদ্যুৎ দফতর এবং ক্রীড়া ও যুব দফতর ছিল।