পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রাজ্যে আরও ৭টি জেলার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। ইতিমধ্যে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ইডি হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই রাজ্যে মন্ত্রিসভার রদবদলের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রিসভায় ৪-৫ জনকে দলের কাজে লাগানো হতে পারে। বুধবার মন্ত্রিসভায় রদবদলের ঘোষণা। মন্ত্রিসভায় আসতে পারে ৬ জন নতুন মুখ। মুখ্যমন্ত্রী সোমবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে জানান, সাধন পান্ডে, সুব্রত মুখোপাধ্যায় মারা গেছেন। পার্থদা জেলে আছেন। তাই সেই সমস্ত পদগুলি খালি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, আমার পক্ষেও সব দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। তাই রদবদল করা হবে।
সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য হবার দৌড়ে এগিয়ে তাপস রায়, পার্থ ভৌমিক, উদয়ন গুহ, স্নেহাশিস চক্রবর্তী। মন্ত্রী পদ হারাতে পারেন পরেশ অধিকারী, সৌমেন মহাপাত্র সহ আরও দুই মন্ত্রী ।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন প্রশাসনিক কাজের সুবিধার জন্য, নতুন জেলা হচ্ছে। সুন্দরবন, ইছামতী, বসিরহাট, রানাঘাট, বহরমপুর, কান্দি ও বিষ্ণুপুর।
নদিয়া জেলা ভেঙে হল “রানাঘাট জেলা”, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা ভেঙে হলো “ইছামতি জেলা”, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা ভেঙে হল “বসিরহাট জেলা”, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ভেঙে হলো “সুন্দরবন জেলা”, মুর্শিদাবাদ জেলা ভেঙে হলো “বহরমপুর জেলা” মুর্শিদাবাদ জেলা ভেঙে হলো “কান্দি জেলা”, বাঁকুড়া জেলা ভেঙে হল “বিষ্ণুপুর জেলা”।
উল্লেখ্য, মন্ত্রিসভা থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিয়েছিলেন আগেই। এবার মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের পালা। এখনো পর্যন্ত যা খবর মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন মন্ত্রিসভায় কিছু নতুন মুখ নিয়ে আসতে। যাদের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির রয়েছে এবং কর্মঠ। এক্ষেত্রে আলাদা করে কোনও নাম প্রকাশ্যে না এলেও যতদূর শোনা যাচ্ছে সোমবার মন্ত্রিসভায় রদবদল করে নীতি আয়োগের বৈঠকের জন্য দিল্লি যেতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তবে বদল যে শুধু মন্ত্রিসভায় হতে চলেছে এমন টা নয়। মন্ত্রিসভার পাশাপাশি সাংগঠনিক আগামী কিছুদিনের মধ্যে একটা বড় রদবদল দেখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায় একইসঙ্গে একাধিক গুরুদায়িত্ব পালন করতেন। দলের মধ্যে যাতে কোনো নেতার ঘাড়ে চাপ নাবারে সেইজন্য সেই দায়িত্ব গুলিও বন্টন করে দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী।
যতদূর জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই এই নিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একপ্রস্থ কথাও হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। যেভাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে আছে তার সঙ্গে মহিলা ঘটিত বিষয় উঠে আসছে এবং একের পর এক জায়গা থেকে টাকা উদ্ধার হচ্ছে তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দলের ভাবমূর্তি। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের বিশ্বাস অর্জনের জন্য যে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন তা ইতিমধ্যেই দল নিয়েছে।
এরপরেও কোনভাবেই বিরোধীদের প্রশ্নবানে থেকে বাঁচা যাচ্ছে না। আর তাই দলের তরফেও আগামী দিনে বেশ কিছু সাংগঠনিক রদবদল দেখা যেতে পারে। মূলত এই সাংগঠনিক রদবদল থেকে সাধারণ মানুষকে এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা হবে যে কোন দুর্নীতি গ্রহণযোগ্য নয়।
আরও পড়ুন: ‘প্রি-পূজা কার্নিভাল ২০২২’
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবারের দিল্লি সফর ও খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যেহেতু এবার নীতি আয়োগের বৈঠকে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই যোগ দিচ্ছেন। কাজেই যোগ দেবেন মমতাও। কিন্তু শুধু নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিয়ে ফিরে আসার পক্ষপাতী মমতা নয়। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে রাজ্যের দাবি-দাওয়া নিয়ে তিনি বিভিন্ন দপ্তরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও। সাক্ষাৎ করার চেষ্টা করবেন নতুন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও।