পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ শিক্ষকপদে নিয়োগের সমস্যা কাটাতে তৎপর রাজ্য। ইতিমধ্যেই নবম-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক পদের চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ।এবার তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক এবং মুখপাত্র কুণাল ঘোষ রবিবার এসএসসি শারীরিক শিক্ষা এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষা পদের চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করেছেন। এই প্রসঙ্গে তারা জানান, নিয়োগের ব্যাপারে তারা আত্মবিশ্বাসী।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে প্রথমবার এসএসসির শারীরশিক্ষা-কর্মশিক্ষা পদের চাকরিপ্রার্থীদের ধরনামঞ্চে সাক্ষাৎ করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।এই সময় তিনি চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন,তাদের আবেদন ও আর্জি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌছিয়ে দেন।
এরপর মুখ্যমন্ত্রী নিজেই শিক্ষা দফতরের দুই আধিকারিককে চাকরিপ্রার্থীদের কাছে পাঠান। তারপর রাজ্য সরকার ১৯ মে ১৬০০ পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে। নিয়োগ জট কাটলেও এখনও নিয়োগপত্র হাতে পায়নি চাকরিপ্রার্থীরা। এদিনের আলোচনার পর কুণাল ঘোষ তাদের জানান, যে পদ্ধতিতে নিয়োগপত্র দেওয়া সেই সার্ভারের অ্যাকসেস পুরোপুরি কমিশনের হাতে। ফলে নিয়োগপত্র হাতে পাচ্ছেন না তাঁরা।
তবে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে তৎপর রাজ্য সরকার। এদিনের আলোচনার পর কুণাল ঘোষ সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, আমি এখানে প্রশাসনের লোক হয়ে আসেনি।আজ আমি এসেছি শুধুমাত্র সরকার এবং চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে পোস্ট অফিসের কাজ করতে। এদিনের সম্মেলনে বিরোধীদের কড়া কটাক্ষ করেন তিনি।
তাঁর কথায়, “একটা জট হয়েছে। সরকার জট খোলার চেষ্টা করছে, তাতে কি সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপির দুঃখ হচ্ছে? যারা প্রশ্ন তুলছেন তাদের মুখোশ খুলে যাচ্ছে। চাকরিপ্রার্থীদের চোখের জল নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে ওরা।” এই প্রসঙ্গে আত্মবিশ্বাসী চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন তারা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের কথায়, “আমরা সরকারি প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করেছি। আমরা কাজ পাওয়ার ব্যাপারে সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী। আমরা জানতে পেরেছি সরকার আমাদের চাকরি দিতে আগ্রহী। কিন্তু নিয়োগপত্র পাওয়ার উপায়, ও সার্ভারে প্রবেশ সম্পূর্ণ কমিশনের হাতে। আমরা সেটা বুঝি। কিন্তু সরকার আমাদের চাকরি দিতে খুব আগ্রহী, আমরা এই বার্তা পেয়েছি।