কৌশিক সালুই, বীরভূম: সংখ্যালঘু ছাত্র-ছাত্রীদের ঐক্যশ্রী স্কলারশিপে ভুয়ো আবেদন রুখতে আগে থেকেই সতর্ক বীরভূম জেলার সংখ্যালঘু দফতর। প্রকৃত পড়ুয়ারা যাতে এই স্কলারশিপ থেকে কোন ভাবেই বঞ্চিত না হয় তার জন্য উদ্যোগ দফতরের প্রথম শ্রেণী পড়ুয়া থেকে পি এইচডি গবেষক পর্যন্ত ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ পেয়ে থাকে।
বীরভূম জেলা সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ এ ভুয়ো ছাত্রছাত্রীরা যাতে আগামী শিক্ষাবর্ষে আবেদন করতে না পারে তার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিগত বছর বীরভূম জেলায় তিন লক্ষ দশ হাজার সংখ্যালঘু পড়ুয়া ঐক্যশ্রী স্কলারশিপের জন্য আবেদন করেছিল তাদের মধ্যে সাড়ে তিন হাজার ভুয়ো ছাত্রছাত্রী চিহ্নিত হয়।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ছাত্রদের স্কুল থেকে ছাত্রীদের নামে আবার ছাত্রীদের স্কুল থেকে ছাত্রদের নামে আবেদন পত্র জমা হয়েছে। পাশাপাশি সর্বশিক্ষা মিশনে নথিভুক্ত সংখ্যালঘু ছাত্র-ছাত্রীদের মোট সংখ্যা থেকে দেখা যায় বেশি আবেদন জমা হয়েছিল ঐক্যশ্রী স্কলারশিপের জন্য। আর তা থেকেই বীরভূম জেলার সংখ্যালঘু দফতর সেই ভুয়ো আবেদনকারী পড়ুয়াদের চিহ্নিত করে ফেলে। বিশেষ করে বিগত বছরে ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপে আবেদনের পর তাদের তথ্য যাচাইয়ের সুনির্দিষ্ট কোন নিয়ম ছিল না। কিন্তু আগামী ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে যাতে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করেছে বীরভূম জেলার সংখ্যালঘু দফতর। প্রত্যেক স্কুল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সংখ্যালঘু দফতরের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের প্রোফাইল আপডেট করার পর প্রধান শিক্ষক দ্বারা ঐক্যশ্রী প্রাপক পড়ুয়ার নথি যাচাই করে দিতে হবে। সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি সংখ্যালঘু দফতরের নিজস্ব পোর্টালে আপডেট হয়ে যাবে। আগামী ১৫ই আগস্ট থেকে আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য এই স্কলারশিপ আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। ১১০০ টাকা থেকে ৩৩ হাজার টাকা পর্যন্ত এই স্কলারশিপের বরাদ্দের পরিমাণ হয়ে থাকে।
বীরভূম জেলা সংখ্যালঘু শিক্ষা আধিকারিক আলী ইমরান বলেন, ” বিগত বছরের ছেলেদের স্কুল থেকে মেয়েদের নাম এবং মেয়েদের স্কুল থেকে ছেলেদের নাম তাছাড়াও জেলায় যে মোট সংখ্যালঘু ছাত্র-ছাত্রী আছে তার থেকেও বেশি সংখ্যক আবেদন পড়েছিল ঐক্যশ্রী স্কলারশিপের জন্য। আগামী শিক্ষাবর্ষে যাতে কোনোভাবেই ভুয়ো আবেদন না হয় তার জন্য আগাম সতর্কতা হিসেবে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে”।