আইভি আদক, হাওড়াঃ রাত পোহালেই ২১ জুলাই। তৃণমূলের শহীদ সমাবেশ কে ঘিরে একেবারে সাজো সাজো রব।করোনার জন্য ২ বছর বন্ধ থাকার পর এবছর ফের প্রকাশ্য জনসভা।
২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি দেখতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাওড়া স্টেশন চত্বর পরিদর্শন করেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। একুশে জুলাইয়ের জন্য এখানকার প্রস্তুতি সরজমিনে দেখেন তিনি। তিনি জানান, বিভিন্ন জেলা ছাড়াও অন্য রাজ্য থেকেও কর্মীরা আসবেন। বুধবার সারাদিন কর্মীরা আসবেন। প্রায় পনেরো হাজার কর্মীর জন্য রান্নার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।উত্তর হাওড়ার কিছু জায়গায় থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একুশে জুলাই হাওড়া থেকে কমপক্ষে পঞ্চাশ হাজার কর্মী যাবেন সভাস্থলে।
অন্যদিকে ২১ জুলাইয়ের শহীদ সমাবেশে যোগ দিতে হাওড়া স্টেশনে বিভিন্ন জেলা থেকে ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছেন হাজার হাজার কর্মী সমর্থকেরা। এই আগত তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় এবার তার জন্য হাওড়া জিআরপির তরফ থেকেও আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার বিকেলে হাওড়া স্টেশন পরিদর্শন করেন ডিআইজি রেল।
এবিষয়ে হাওড়া জিআরপি থানার আইসি সিদ্ধার্থ রায় জানান, এরজন্য প্রয়োজনীয় যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা করে নিয়েছি। এই ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে মঙ্গলবার বিকেলে হাওড়া স্টেশনে আসেন ডিআইজি রেল আনাপ্পা ই। এছাড়াও হাওড়ার রেল পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার দ্বিবেদী, রেলের ডিএসপি ডিইবি এবং ডিএসপি হেড কোয়ার্টার প্রমুখ আধিকারিকরা এদিন উপস্থিত ছিলেন। ওনাদের নির্দেশ অনুযায়ী স্টেশন চত্বর, সব গেটে পুলিশি নিরাপত্তা থাকছে। যাতে ট্রেন থেকে নেমে কর্মী সমর্থকেরা খুব সহজেই সমাবেশ স্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হতে পারেন।
বেশ বড়ো আকারে মেডিকেল ক্যাম্প করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা থাকছেন। অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তার সব ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। ২টি ক্যাম্প খোলা হচ্ছে। রেল পুলিশের ৪৫০ জন কর্মী থাকছেন ডিউটিতে। এছাড়াও অফিসার ফোর্স, লেডি কনস্টেবল, সিভিক ভলেন্টিয়াররা সকলেই থাকবেন।