পুবের কলম প্রতিবেদক: ২১ শে জুলাইকে ঘিরে উন্মাদনার জোয়ারে ভাসছে গোটা কলকাতাসহ তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল। চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা থেকে দলের সমস্ত রাজনৈতিক নেতারা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছেন। ইতিমধ্যেই জেলা, শহরতলী থেকে বহু মানুষ এসে গেছে ২১ শে জুলাই কর্মসূচীতে যোগ দিতে।
নেতা-নেত্রীর সকলের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংগ্রামের ইতিহাস এই ২১ শে জুলাইয়ের মধ্য দিয়ে সূচিত হয়েছে। শহরের একাধিক স্থানে দলের নেতা-কর্মীদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শিবিরগুলিতে রান্নার কাজও চলছে। সকলের পাতেই পড়ছে ভাত, ডাল, ডিমভাত।
গত দুবছর করোনা অতিমারির কারণে বন্ধ ছিল ২১ শে জুলাইয়ের কর্মসূচি। দুই বছরই ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হয়। তবে এবার রাজ্য-রাজনীতিতে অনেক পট পরিবর্তন হয়েছে। তৃণমূলকে সর্ব ভারতীয় দলে পরিণত করতে রাজ্যে প্রচার আরও জোরদার হয়েছে। তাই ২০২২-এর ২১ শে জুলাই রাজনীতি অবশ্যই তাৎপর্যপূণ। নেত্রীকে একবার কাছ থেকে দেখার সুযোগ হারাতে চান কেউই। জনসভা থেকে নেত্রী আগামীদিনের জন্য কি বার্তা তুলে ধরেন তা শুনতে অধীরে আগ্রহে অপেক্ষা হেভিওয়েট নেতা থেকে থেকে দলের তৃণমূল স্তরের নেতা কর্মীদের।
তবে ২১ শে জুলাই শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কঠোর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে শহর কলকাতা। ধর্মতলা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। চতুর্দিকেই বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। সেই সঙ্গে স্নিফার ডগ দিয়ে পুরো জায়গা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৰ্মতলা-সহ শহর জুড়ে মোতায়েন থাকছে হাজার তিনেকের বেশি পুলিশ। থাকছে হাই রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড, রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড, কুইক রেসপন্স টিম, মোবাইল পেট্রোলিং ভ্যান।
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন ডিসি পদমর্যাদা অফিসার, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার-সহ লালবাজারের শীর্ষ কর্তারা। ধর্মতলায় তিন তিনটে স্টেজ তৈরি হয়েছে। অন্যবারের তুলনায় আয়তনেও বড়। প্রায় ৫০০ জন বসার ব্যবস্থা রয়েছে মঞ্চে।
যানজটের সমস্যা এড়াতে একাধিক রাস্তা ওয়ান করা হবে। আর্মহার্স্ট স্ট্রিট হবে উত্তর থেকে দক্ষিণ মুখী। বিধান সরণি (কেশব সেন স্ট্রিট থেকে বিবেকানন্দ রোড) হবে দক্ষিণ থেকে উত্তর মুখী। কলেজ স্ট্রিটও হবে দক্ষিণ থেকে উত্তর মুখী। ব্রেবন রোড হবে উত্তর থেকে দক্ষিণ মুখী। স্ট্র্যান্ড রোড (হেয়ার স্ট্রিট থেকে উডমান্ড স্ট্রিচ ) হবে দক্ষিণ থেকে উত্তরমুখী। বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট হবে পূর্ব থেকে পশ্চিমমুখী। বেন্ট্রিঙ্ক স্ট্রিট হবে দক্ষিণ থেকে উত্তরমুখী। নিউ সিআইটি রোড হবে পশ্চিম থেকে পূর্ব মুখী। আর রবীন্দ্র সরণি (বিকে পাল অ্যাভিনিউ থেকে লালবাজার) হবে দক্ষিণ থেকে উত্তরমুখী।
প্রত্যেক বারের মতো নিজেদের নানা রকমে সাজিয়ে, দিদি ছবি হাতে নিয়ে চত্বরে উপস্থিত হয়েছেন। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। এক কথায় ২১ শে জুলাই উপলক্ষে সেজে উঠেছে গোটা কলকাতা।