শুভজিৎ দেবনাথঃ পণ দিতে না পারায় দু দুবার গর্ভের সন্তানকে খোয়ালেন গৃহবধূ। পণ প্রথার এহেন মর্মান্তিক পরিনতিতে চাঞ্চল্য ময়নাগুড়িতে। পণ না পেয়ে নির্মম অত্যাচার করে গৃহবধূর গর্ভের সন্তানকে দুবার নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে।
অসুস্থ গৃহবধূ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আপাতত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। তার লিখিত অভিযোগ পেয়ে স্বামী আশীষ রায়কে গ্রেফতার করেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। জানা গেছে ২০২০ সালে ময়নাগুড়ি উত্তর খাগড়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দা পম্পা রায়ের সাথে ময়নাগুড়ি পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের আশীষ রায়ের সাথে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়। অভিযোগ বিয়ের পর থেকে পণের দাবিতে পম্পা রায়ের উপর নির্মম অত্যাচার চালাত তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে বছরখানেক আগে পম্পা দেবীর একটি সন্তান গর্ভেই নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তীতে তিনি সবকিছু মুখ বন্দ করে সহ্য করে আবার সংসার করছিলেন। ফের তিনি গর্ভবতী হন। অভিযোগ চলতি মাসে শ্বশুর বাড়ির মারধরের ফলে আবার দ্বিতীয় সন্তানটিও নষ্ট হয়ে গেছে।
পম্পা দেবী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ ছাড়া পেয়েছেন। পম্পা দেবী জানান পণ দিতে না পারায় তাকে নির্মম অত্যাচার করেছে তার স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। দুবার তাকে মারধর করে তার গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করে দিয়েছে তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা।
এবার অত্যাচার করার পর তিনি পালিয়ে তার পিসির বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে খবর পেয়ে আমার বাপের বাড়ির লোকেরা এসে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করায়। তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ময়নাগুড়ি থানায় এসেছিলেন । তিনি তার স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অপর দিকে তার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আশীষ রায়। ঘটনায় ময়নাগুড়ি থানার আই সি তমাল দাস বলেন “লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযুক্তদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আশীষ রায়কে গ্রেফতার করেছি। তাকে আগামীকাল জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হবে। অন্যান্য অভিযুকরা পলাতক রয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশী চলছে।