পুবের কলম প্রতিবেদক: ফের রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। তাই একুশে জুলাইয়ের অনুষ্ঠান হোক ভার্চুয়াল মাধ্যমেই হোক। এমনই দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল। মামলাকারীদের তরফে দাবি করা হয়েছে, স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজারের বেশি। মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এমন অবস্থায় আগামী ২১ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের মেগা ইভেন্ট ‘শহিদ দিবস’-এর অনুষ্ঠান ভার্চুয়ালি করা হোক।
জানা গিয়েছে, ডা. সঞ্জীবকুমার মুখোপাধ্যায় নামে কলকাতার এক চিকিৎসক হাইকোর্টে এই মামলা দায়ের করেছেন। ওই চিকিৎসকের দাবি, যদি একান্তই তৃণমূলের ওই কর্মসূচি ভার্চুয়ালি না-করা যায়, তবে সমস্তরকম করোনাবিধি মেনে করতে হবে করতে হবে শহিদ সমাবেশ। সমাবেশস্থলে সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করে, সবাই যাতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলে ও সব গেটে স্যানিটাইজার চ্যানেল বসানো যায় এবং শরীরের তাপমাত্রা মাপা-সহ যা যা স্বাস্থ্যবিধি রয়েছে, তার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
আদালতে দাবি করা হয়েছে, যদি কেউ কোভিড আক্রান্ত হন তাঁকে নিভৃতবাসে রাখার ব্যবস্থা ও উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। মামলাকারী চিকিৎসক প্রস্তাব দিয়েছেন, জেলা বা শহরতলি থেকে যে সব বাস-গাড়ি আসবে আগে থেকে স্যানিটাইজ করা, একুশে জুলাইয়ের আগে যাঁরা দূর থেকে এসে থাকবেন তাঁদের থাকার জায়গা স্যানিটাইজ করা, সম্ভব হলে জেলাভিত্তিক পার্টি অফিস থেকে ভ্যাকসিন ও বুস্টার ডোজ নেওয়ার তালিকা বানাতে হবে।
এ নিয়ে ডা. সঞ্জীবকুমার মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী শমীক বাগচী ও নুর ইসলাম শেখ জানিয়েছেন, মামলাটি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আগামী মঙ্গলবার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
অন্যদিকে, আগামী ২১ শে জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূলের জনসভার পালটা হিসাবে উলুবেড়িয়ার রাধানগরে জনসভার ডাক দিয়েছে বিজেপি। সেই সভার অনুমতি নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। যা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ পদ্মশিবির।
বিজেপির সূত্রে খবর, নূপুর শর্মা ইস্যুতে বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে, তার প্রতিবাদেই সভা। তবে বিজেপির শব্দ প্রয়োগ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন।
বিজেপির দায়ের করা মামলার শুনানি হবে মঙ্গলবার।