পুবের কলম প্রতিবেদন: রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ স্কুল পড়ুয়া ছেলেকে খুঁজে না পাওয়ার ঘটনার ছ’দিন অতিক্রান্ত। গত ৮ তারিখে পুলিশের খাতায় ছেলের নিখোঁজ ডায়েরি করেও কোন সুরাহা মেলেনি। শেষে ঘরের ছেলেকে ফিরে পেতে বুধবার দুপুরে পুলিশের উদাসীনতার অভিযোগ তুলে বৃষ্টির মধ্যে বাগুইআটি থানার সামনেই ধরনায় বসলেন নিখোঁজ ছাত্রের বাবা-মা। সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়ে প্রশাসনের কাছে ছেলেকে খুঁজে দেওয়ার করুন আর্তনাদ কেষ্টপুরের দম্পতির। যদিও বাগুইআটি থানার পুলিশের দাবি, প্রথম দিন থেকেই নিরুদ্দেশ ছাত্রের খোঁজে তল্লাশিতে নেমেছে তারা। তদন্তের স্বার্থে কথা বলা হয়েছে পড়ুয়ার স্কুলের সঙ্গেও।
উল্লেখিত, গত ৮ তারিখে সকালে টিউশন পড়তে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি কেষ্টপুর বারোয়ারি তলার স্কুল ছাত্র সৌভিক দেবনাথ (১৯)। বিধাননগর মিউনিসিপাল স্কুলের নবম শ্রেণীর পড়ুয়া ছেলেকে খুঁজে না পাওয়ার মর্মে উদ্বিগ্ন পরিবার স্থানীয় বাগুইআটি থানায় নিখোঁজ ছেলের সন্ধানে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই ঘটনা হপ্তা পেরোতে চলেছে। শেষমেষ নিরুপায় দম্পতির একমাত্র ছেলেকে ঘরে ফিরে পাওয়ার আশায় স্বয়ং থানার সামনে ধরনায় বসে প্রশাসনের কাছে জানালেন আর্জি।
নিখোঁজ ছাত্রের পরিবারের সূত্রে খবর, পড়াশুনোর ফাঁকে অনলাইন মোবাইল গেমে মগ্ন থাকত তাদের ছেলে। সেই নেশা ছাড়াতে ছেলের সঙ্গে প্রায়ই মতানৈক্য তৈরি হতো পরিবারের। গত ৮ তারিখে সেরকমই একটি অশান্তি তৈরি হয়েছিল। নিখোঁজ ছাত্রের বাবা তরঙ্গ দেবনাথ জানিয়েছেন, ওই দিন সকাল ৯.৩০ মিনিট নাগাদ টিউশন পড়ার উদ্দেশ্যে ব্যাগ গুছিয়ে নিয়ে বাড়ি ছাড়ে ছেলে।
এরই পর পরিজনেরা জানতে পারেন, বাড়ি ছাড়ার ওই দিন বাবা-মায়ের মোবাইলে ব্যবহৃত অনলাইন মানি অ্যাপের মাধ্যমে ধাপে ধাপে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে প্রায় ৩০ হাজার টাকা ট্রানজেকশন করে সৌভিক। আর সেখান থেকে উদ্বিগ্ন পরিবারের সন্ধিহান বাড়ছে অনলাইন গেমের নেশায় নিরুদ্দেশ পড়ুয়া!