পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মহারাষ্ট্রে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৬। বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ক সূত্রে এই মৃতের খবর জানানো হয়েছে। গতকাল ২৪ ঘন্টায় ৯ জনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে ৪ জন ওয়ার্ধা, তিন জন গাঢ়চৌলি, একজন নানদেন ও অপর ব্যক্তি সিন্ধুদুর্গের বাসিন্দা ছিলেন।
টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে প্রায় অবরুদ্ধ বাণিজ্য নগরী মুম্বই সহ মহারাষ্ট্র। একাধিক এলাকা জলের তলায়। যানজটের কবলে বহু এলাকা। প্রায় ১ জুন থেকে চলছে বৃষ্টি। ১২৫টির মতো পশু মারা গিয়েছে।
মৌসম বিভাগ জানিয়েছে, কোঙ্কন উপকূলবর্তী এলাকায় ১৩ জুলাই পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মারাঠওয়াড়া এবং বিদর্ভ অঞ্চলে ১৩০টি গ্রামে গ্রাম, সমস্ত ভারী বৃষ্টিপাতের কবলে।কমপক্ষে ২০০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পূর্ব মহারাষ্ট্রে প্রায় ১২৮ গ্রামের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসের পরিপ্রেক্ষিতে, রাজ্যের রাজধানী মুম্বাই সহ উপকূলীয় জেলাগুলিতে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) দলগুলি মোতায়েন করা হয়েছে। দুর্যোগ কবলিত এলাকা রায়গড়, রতনগিরি জেলা থেকে বহু নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গত বছর রতনগিরি চিপলুন জেলা ও রায়গড়ের মাহাদে প্রবল বৃষ্টি হয়। জুলাই এর ২৩ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে রায়গড়, রতনগিরি, সাতারা, কোলহাপুরে ১১০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে।
বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, অতিভারী বৃষ্টিতে ৮৩৮টি বাড়ি এখনও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩৫টি অস্থায়ী ত্রাণ শিবির খুলেছে প্রশাসন। প্রাণহানি হয়েছে ১২৫টি গৃহপালিত পশুর। পাঁচ হাজার গৃহহীন মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর মুম্বইয়ে কমলা সতর্কতা জারি করেছে। আগামী পাঁচ দিন অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। বিশেষত মুম্বই ও ঠানের মতো এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।