পুবের কলম প্রতিবেদক, বসিরহাটঃ সুন্দরবনের রায়মঙ্গল নদীতে ফের মৎস্যজীবির জালে বিশাল আকারের একটি ভেটকি মাছ ধরা পড়ল। সুন্দরবনের কালিতলা-ঝিঙেখালির রায়মঙ্গল নদীতে মৎস্যজী হরিদাস মৃধা ও তার পিতা বসুদেব মৃধা তারা দিনরাত জাল পেতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। শনিবার রাতে নদীতে জাল পাতলে গভীর রাতে জালের মধ্যে কিছু একটা জোরে জোরে লাফাফালি করছিল ।সেই সংকেত বুঝতে পেরে তখন তারা জাল তুলতে দেখতে পায় বিশালাকার একটি ভেটকি মাছ। সেই মাছ নদী থেকে পাড়ে তোলা মাত্রই দেখার জন্য কালিতলা বাজার সংলগ্ন নদীর পাড়ে মানুষের ঢল নেমে আসে।
মাছটি লম্বায় প্রায় ৪ফুট ও চওড়ায় ১ ফুট। বিশাল আকারএই মাছটি গাডি ভাডা নিয়ে রবিবার কলকাতার উদ্দেশ্য রওনা দেয় তারা।সহযোগিতায় ছিলেন তন্ময় মৃধা নামে স্থানীয় এক মৎস্য ব্যবসায়ী।বাজারে নিয়ে গিয়ে ওজন করা হলে দেখা যায় ১৯ কেজি ৬২০গ্রাম । মাছটির দাম ওঠে ১৯ হাজার ২০৮ টাকা। দিন কয়েক আগে এই রায়মঙ্গল নদীতে আর এক মৎসজীবি পঁচিশ কেজি ওজনের ভেটকি মাছ পেয়েছিলেন ।
যা বিক্রি হয়েছিল ২৫ হাজার টাকায়। এবার কুড়ি কেজি ওজনের ভেটকি মাছ মেলায় মৎস্যজীবীদের মধ্যে চাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যায়। মৎস্যজী হরিদাস মৃধা জানান, করোনা মহামারী থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত সে রকম কোনো রুজি-রোজগার ভালো না হওয়ায় আজ এই মাছটি পেয়ে মোটা অংকের টাকা আয় হল। তিনিি আরো জানা সুন্দরবনের গভীরে নদীতে মাছ ধরতে গেলে মৎস্যজীবীদের প্রাণটাকে হাতের মুঠোয় করে নিয়ে যেতে হয়। কারণ সেখানে উভয় সংকটের মধ্যে- জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ। ডাকাত দস্যু দের সাথে লড়াই এবং বিএসএফের বাঁধাকে উপেক্ষা করে মাছ ধরতে হয় ।কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, মাছ ধরতে ধরতে তার বয়সটা ৫০ থেকে ৫৩ বছরে এসে দাঁড়িয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত তারা সরকারি কোন পরিচয় পত্র বা কোনো রকম সুযোগ-সুবিধা পাননি জানালেন মৎস্যজীবী বাসুদেব মৃধা।