পূবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ত্রিপুরা উপনির্বাচনে ৪টি আসনের তিনটিতেই জয়ী বিজেপি। ১টি আসন এসেছে কংগ্রেসের দখলে। ত্রিপুরায় বামপ্রার্থীদেরও পিছনে ফেলেছে কংগ্রেস। তবে সবচেয়ে খারাপ ফল হয়েছে তৃণমূলের। সব আসনেই জামানত জব্দ হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের। যদিও এই ফলাফল নিয়ে কুণাল ঘোষের বক্তব্য, কেউ যদি তৃণমূলের ফল নিয়ে হতাশ হয়ে থাকেন তাহলে তারা ভুল করবেন। এই ফলাফল কিছুই প্রমাণ করে না। তৃণমূলের জনপ্রিয়তায় সকলেই উদ্বিগ্ন।
বিজেপি অবাধে ছাপ্পা ভোট ও সন্ত্রাস চালিয়েছে। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস ২০২৩ সালে যে বিকল্প সরকার ত্রিপুরায় তৈরি হবে তাতে নেতৃত্ব দেবে তৃণমূলই। অন্যদিকে, ত্রিপুরায় তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিক জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেকের নেতৃত্বে আগামী দিনে ত্রিপুরায় সরকার পরিবর্তন হবেই।’
প্রথমবার ভোটে অংশগ্রহণ করেই নজর কেড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। বড়দোয়ালি কেন্দ্রে ১৭১৮১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি কংগ্রেসের দু’বারের বিধায়ক আশিস সাহা পেয়েছেন ১১,০৭৭টি ভোট। এই কেন্দ্রের তৃণমূলপ্রার্থী সংহিতা ভট্টাচার্য পেয়েছেন ৯৮৬টি ভোট এবং বামপ্রার্থী পেয়েছেন, ৩৩৭৬টি ভোট।
মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বিপ্লবদেবের আচমকা ইস্তফার পর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যসভার সাংসদ মানিক সাহার নাম ঘোষণা করে বিজেপি। উল্লেখ্য ২০১৬ সালে কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেন মানিকবাবু। আগরতলা কেন্দ্রে জয়ী বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে আসা বর্ষীয়ান নেতা সুদীপ রায় বর্মন। কঠিন লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত সুদীপবাবুই ছাপ রাখলেন। যুবরাজনগর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী মলিনা দেবনাথ ১৮,৭৬৯টি ভোট পেয়ে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বামপ্রার্থী শৈলেন্দ্র নাথকে পরাজিত করেন। সুরমা কেন্দ্রেও জয়ী বিজেপি প্রার্থী স্বপন দাস। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নির্দলপ্রার্থীকে হারিয়েছেন।