পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ আগামী কয়েক মাসে মধ্যে প্রতিবেশী দেশ বেলারুশে পরমাণু অস্ত্রবাহী মিসাইল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা পাঠাবে রাশিয়া। রাশিয়া-ইউক্রেন লড়াইয়ের মধ্যে গত শনিবার বেলারুসিয়ান প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেনকো মস্কোয় পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তিনি পুতিনকে জানান, পশ্চিমা ন্যাটো জোটের পরমাণু অস্ত্রবাহী বিমানবহর বেলারুশ সীমান্তের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছে। এর পাল্টা হিসেবে পুতিন এই ঘোষণা দিয়েছেন।
রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে বেলারুসিয়ান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক টেলিভিশন সাক্ষাতকারে পুতিন জানান, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বেলারুশে কৌশলগত ইস্কান্দার-এম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা হস্তান্তর করা হবে। এটি প্রচলিত এবং পারমাণবিক সংস্করণে ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ উভয় ক্ষেপণাস্ত্রই ছুড়তে পারে।
পুতিনের সঙ্গে এক সাক্ষাতে লুকাশেনকো প্রতিবেশী দেশ লিথুয়ানিয়া ও পোল্যান্ড-এর আক্রমণাত্মক এবং উস্কানিমূলক নীতির কথা জানিয়েছিলেন। তিনি রাশিয়াকে তার দেশের সীমান্তের কাছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের পারমাণবিক সশস্ত্র বিমানগুলির বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিক্রিয়া” দেখানোর আহ্বান জানান।
পুতিন ইউক্রেন নিয়ে পশ্চিমাদের সাথে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে বেলারুশিয়ান যুদ্ধবিমানগুলিকে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম করে তোলার প্রস্তাব দেন। বর্তমানে রাশিয়ান বহু Su-25 যুদ্ধবিমান বেলারুসিয়ান বিমান বাহিনীর সার্ভিসে যুক্ত রয়েছে। পুতিন এই যুদ্ধবিমানগুলিকে উপযুক্তভাবে আপগ্রেড করার প্রস্তাব দেন।
গত মাসেই লুকাশেনকো জানিয়েছিলেন, তার দেশ রাশিয়া থাকে পরমাণু অস্ত্র বহনকারী ইস্কান্দার মিসাইল এবং বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা S-400 মিসাইল কিনেছে
গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আক্রমণের পর বেশ কয়েকবার পুতিনের মুখে পরমাণু অস্ত্রের উল্লেখ শোনা গিয়েছে। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণে পশ্চিমা দেশগুলোর হস্তক্ষেপ সম্পর্কে সতর্ক করতে তিনি এই উল্লেখ করেছিলেন। পুতিন বলেছিলেন, পশ্চিমারা ইউক্রেনের পক্ষ নিয়ে দেশটিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করছে।
রাশিয়ার অভিযোগ পশ্চিমারা রাশিয়ার উত্তর প্রতিবেশী দেশ ফিনল্যান্ড এবং লিথুয়ানিয়াকে ন্যাটো জোটে যোগদানের জন্য প্ররোচনা দিচ্ছে। গত সপ্তাহে ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞার অংশীদার হয়ে প্রতিবেশী দেশ লিথুয়ানিয়া রাশিয়া থেকে বেলারুশ হয়ে যাওয়া রুশ পণ্যবাহী জাহাজগুলিকে বাল্টিক সাগরে প্রবেশে বাধা দেয়। এতে প্রচন্ডভাবে ক্ষুদ্ধ হয় রাশিয়া। আর তাই সামরিকভাবে পদক্ষেপের পাশাপাশি প্রতিবেশী বেলারুশের নিরাপত্তাও বাড়াতে চাইছে রাশিয়া।