“যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান”……
পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ এপার বাংলার আরও এক কালজয়ী কবি অন্নদাশংকর রায় এইভাবেই বঙ্গবন্ধুকে অন্তরের শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন। আজ তাঁরই কন্যা বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করলেন পদ্মা সেতুর। ২৩ বছরের স্বপ্ন সফল। আবেগে ভাসছেন দুপার বাংলার মানুষ ই।
সকাল ১১ টা ১২ মিনিটে (বাংলাদেশের সময়) মাওয়া পয়েন্টে টোল দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নব অধ্যায়ের সূচনা করলেন হাসিনা।
মাওয়া পয়েন্টে টোল পরিশোধের পর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল উন্মোচনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর নির্মাণ কাজে ৩৭ এবং ৩৮ নম্বর পিলারে প্রথম স্প্যান বসানোর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর অংশ দৃশ্যমান হয়। পরে একের পর এক ৪২টি পিলারের ওপর বসানো হয় ৪১টি স্প্যান। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর শেষ ৪১তম স্প্যান স্থাপনের মাধ্যমে বহুমুখী ৬.১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতুর সম্পূর্ণ কাঠামো দৃশ্যমান হয়ে ওঠে।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফর করেন। তিনি পদ্মা ও রূপসা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের প্রস্তাব করেন। জাপান সরকার দুটি নদীর ওপর সেতু নির্মাণে সম্মত হন।
যেহেতু পদ্মা নদী একটি স্রোতস্বীনি নদী যার প্রবল স্রোত, জাপান পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মান নিয়ে মাপজোক শুরু করে।
জাপান ২০০১ সালে পদ্মা নদীর উপর সেতু নির্মাণের সমীক্ষা প্রতিবেদন বাংলাদেশের কাছে জমা দেয়। জাপানি সমীক্ষায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পয়েন্টকে পদ্মা সেতু নির্মাণের স্থান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
জরিপের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী ২০০১ সালের ৪ জুলাই মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সেতু প্রকল্পে শুরুতে রেলের সুবিধা ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রেলওয়ের সুবিধা রেখে সেতুর চূড়ান্ত নকশা প্রণয়ন করা হয়।
৬.১৫ কিলোমিটারের একটি সেতু দেশের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ এলাকাকে সরাসরি স্থলপথে যুক্ত করবে।পদ্মা সেতুর নির্মাণে মোট ৩০,১৯৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে (বাংলাদেশি মুদ্রায়)।