পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: উত্তপ্ত মহারাষ্ট্রের রাজ্য-রাজনীতি। যতই সময় এগোচ্ছে ততই নাটকীয়তা নতুন মোড় নিচ্ছে। এই নিয়ে চারদিন ধরে ক্রমশই অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে মারাঠাভূমে। উদ্ধব ঠাকরে সরকারকে ফেলতে চাপ তৈরি করে চলেছে একনাথ শিন্ডে।
এদিকে বুধবার সেনার হুইপকে লঙ্ঘন করার জন্য ১২ জন বিধায়ককে অযোগ্য ঘোষণা করার দাবি তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনা, সাংসদ অরবিন্দ সাওয়ান্ত। সরকারের তরফে ডেপুটি স্পিকারের কাছে শিবসেনা ১২ বিধায়ককে অযোগ্য ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে। এই তালিকায় যারা রয়েছেন তাঁরা হলেন, একনাথ শিন্ডে, তানাজি সাওয়ন্ত, মহেশ শিন্ডে, আব্দুল সাত্তার, সন্দীপানরাও ভুমরে, ভারতশেট গোগাওয়ালে, সঞ্জয় শিরসাত, ইয়ামিনী যাদব, লতা চন্দ্রকান্ত, অনিল বাবর, প্রকাশ সুরভে এবং বালাজি কিনিকার। এবার একনাথ শিন্ডে শিবির সমস্যায় পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে রাজনৈতিক সূত্রে।
রাজ্য সরকার মহারাষ্ট্র বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার নরহরি জিরওয়ালের কাছে আবেদন করে ১২ বিধায়ককে অযোগ্য ঘোষণা করার দাবি তুলেছে।
এদিকে একনাথ শিন্ডে বলেন, ‘আইন তাঁরাও জানেন। সংবিধানের দশম তফশিল অনুযায়ী হুইপ হল বিধানসভার কাজে জন্য, বৈঠকের জন্য নয়। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকার কথাও স্মরণ করিয়েছেন শিন্ডে।
শুক্রবার সেনা নেতা, সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেছেন, এই বার আসল খেলা শুরু হবে। রাউত বলেন, এখন ১২ জন বিধায়ককে অযোগ্য ঘোষণা করার জন্য ডেপুটি স্পিকার জিরওয়ালের কাছে আবেদনের সঙ্গে আইনি লড়াই শুরু হয়েছে। কারণ গণতন্ত্র সংখ্যাগরিষ্ঠ ব্যক্তিদের উপর চলে, যা যে কোনও সময় পরিবর্তন হতে পারে।
রাউত আরও বলেন, এখনও পর্যন্ত, বিদ্রোহীদের দ্বারা দাবি করা সমর্থন শুধুমাত্র কাগজে কলমে। তারা এখনও মুম্বই আসেননি এবং তারা ফিরে আসার পরে সংখ্যা পরিবর্তন হবে। আর যারা গেছে তাদের অনুতপ্ত হতে হবে’।
১২ বিধায়ককে অযোগ্য ঘোষণা প্রসঙ্গে গুয়াহাটির হোটেল থেকে বের হওয়ার সময় শিন্ডে বলেন, ‘৪২ জন শিবসেনা বিধায়ক-সহ মোট ৫২ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে আমাদের দিকে। আমরাই আসল শিবসেনা’।
শিন্ডে আরও বলেছেন, ‘এই সব করে আমাদের ভয় পাওয়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা যা করেছি সবটাই আইনি মেনে। আমাদের কাছে সমস্ত বিধায়কের হলফনামা রয়েছে যে, তারা আমাদের সঙ্গে স্বেচ্ছায় যোগ দিয়েছেন। ৪০ জন সেনা বিধায়ক রয়েছেন বাকি ১২ জন নির্দল।
সূত্রের খবর, শিন্ডে শুক্রবার অসমে কোনও বিজেপি নেতার সঙ্গে দেখার করার কথাও অস্বীকার করেছেন।
এদিকে দিল্লিতে খুব সতর্কতার সঙ্গে পা মেপে এগোচ্ছে বিজেপি। গত কয়েকদিন ধরেই দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ বৈঠক করছেন। মহারাষ্ট্র সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির উত্তর, ‘ওটা শিবসেনার অন্দরের সমস্যা’।