পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক ঘণ্টা বৈঠক করলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন বৈশাখা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, দিদির সঙ্গে কথা হয়েছে। মমতাদির নির্দেশ বাস্তবায়িত করাই আমার কাজ। চা খেয়েছি, মতেরও বিনিময় হয়েছে।
এদিন বৈশাখী বলেন, আমি মনে করি শোভনের রাজনীতিতে দেওয়ার মতো অনেক কিছুই আছে। আমি আজকে আন্তরিকভাবে ভীষণভাবে খুশি যে, আজ ভাই আর বোনের মধ্যে কথা হয়েছে। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আজ ভাই-বোন যেভাবে কথা বলছিল দেখে খুব ভালো লেগেছে। অভিমানের প্রাচীর ভেঙেছে দেখে ভালো লাগছে। দিদির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করবে শোভন। রাজনীতিতে নিয়েও দিদির সঙ্গে কথা হয়েছে।
এদিন রত্না চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বৈশাখী বলেন, রত্না চট্টোপাধ্যায় আমাদের কাছে প্রাসঙ্গিক নয়।
এদিন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে আসেন। একটি সাদা গাড়িতে চড়ে আসেন দুজনেই। এর পরেই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন দুজনে। মধ্যবর্তী রাজনীতি জীবনে ছন্দপতন ঘটে শোভনের। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। এর পর বিজেপিও ছেড়ে দেন শোভন। আজ ফের জল্পনা উসকে নবান্নে আসেন শোভন-বৈশাখী। তাহলে কি তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন! ২১ শে জুলাই তৃণমূলের ‘শহিদ দিবসে’র মঞ্চে দেখা যেতে পারে শোভনকে! এই নিয়ে তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে।
একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ হিসেবেই লোক সমাজে জনপ্রিয় ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কলকাতার মেয়র হিসবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। কলকাতা পুরসভায় তৃণমূল বোর্ডে ২০০০-২০০৫ সাল পর্যন্ত মেয়র পারিষদ (জল) ছিলেন। ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি নির্বাচিত হন। শোভন চট্টোপাধ্যায় ১৯৮৫ সাল থেকে একটানা কলকাতা পুরপিতার কার্যভার সামলেছিলেন।