পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বন্যায় বিপর্যস্ত অসম। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৭৩জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ দুর্যোগ কবলিত এলাকা পরিদর্শন করবেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত শর্মা। ক্রমশই অবস্থা সংকটের দিকে যাচ্ছে। ৩৫টি জেলার প্রায় ৪৩ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। মুখ্যমন্ত্রী জরুরি ভিত্তিতে দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলি খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আজ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে রিভিউ মিটিং করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
উল্লেখ্য, ভূমিধস ও বন্যার কবলে অসম। সোমবার মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৩। এর মধ্যে রয়েছে দুজন পুলিশ কর্মী। একজন নওগাঁ থানার অফিস ইনচার্জ। দুর্গতদের বাঁচাতে গিয়ে জলের তোড়ে ভেসে যান দুজনেই। সোমবার সকালে তাদের দুজনের দেহ উদ্ধার হয় বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী শর্মা ইতিমধ্যে রাজ্যের মন্ত্রী, বর্ষীয়ান রাজ্য সরকারি অফিসার, ডেপুটি কমিশনারদের নিয়ে বৈঠক সেরেছেন। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেঞ, এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের লক্ষ্য ত্রাণ কবলিত এলাকা থেকে বিপদে পড়া মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে আসা। এর জন্য কোন গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। বন্যা কবলিত এলাকায় যেখানে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ পৌঁছতে পারবে না, সেখানে সেনা ত্রাণ সামগ্রী আকাশপথে পৌঁছে দেবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী কয়েক দিনের জন্য জেলা আধিকারিকদের পদ্ধতিগত বিধি নিয়ে নিজেদের উদ্বিগ্ন না হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ লোকদের ত্রাণ দেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। ত্রাণ শিবিরগুলিতে চিকিৎসকের সব সময় উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অ্যাম্বুলেন মোতায়েন রাখতে বলা হয়েছে। কোনও রোগীর অবস্থা গুরুতর হলে তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সময় হাসপাতালে নৈশকালীন ডিউটি বাড়ানো সহ বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, শিশু ও মহিলাদের বিশেষ যত্ন নেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী শর্মা। ৯টি মেডিক্যাল কলেছে স্বাস্থ্য শিবির খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অসম ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি জানিয়েছে গত এক সপ্তাহ ধরে চলা টানা বৃষ্টিতে বন্যা কবলে অসম। ৩৩টি জেলার ৫১৩৭ গ্রামের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। ১ লক্ষ ৯০ হাজার মানুষকে ৭৪৪টি ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ৪০৩টি অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে ত্রাণের সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৩০ হাজার মানুষকে দুর্গত এলাকা থেকে উদ্ধা করেছে এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ।
কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্কে আটি পশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সাতটি শিং যুক্ত হরিণ ও চিতা জলের তোড়ে ভেসে গেছে।আটটি সাতটি শিং যুক্ত হরিণ, একটি অজগর সহ দশটি বন্য প্রাণীকে উদ্ধা করা হয়েছে।