পুবের কলম প্রতিবেদক: প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে প্রকাশিত হয়েছে উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল। তাতে দেখা গিয়েছে, বেশ কিছু পড়ুয়া একটি বা দু’টি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে। তারপর থেকেই সেই অনুত্তীর্ণ পড়ুয়ারা পাশ করানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই প্রায় একই ছবি। বিষযটি নিয়ে হতবাক বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে সরাসরি মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মন্তব্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন, পরীক্ষায় অকৃতকার্য পড়ুয়াদের ‘কীর্তি’ দেখে তিনি হতবাক।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দক্ষিণেশ্বরে গিয়েছেন একটি সরকারি কর্মসূচিতে। সেই অনুষ্ঠান থেকেই নানান ইস্যুতে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যজুড়ে উচ্চমাধ্যমিকে অনুত্তীর্ণদের বিক্ষোভ নিয়ে তিনি বলেন, এগুলো কী হচ্ছে? এখানে বিক্ষোভ ওখানে বিক্ষোভ। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমি বলছি না যে বিক্ষোভ করা যাবে না। তাই বলে উচ্চমাধ্যমিকে পাশ করতে পারিনি বলে বিক্ষোভ! আমাদের সময়ে এসব ভাবতেও পারতাম না।
উচ্চমাধ্যমিকে অনুত্তীর্ণ পড়ুয়াদের যাঁরা গাইড করছে তাঁরাই এ ব্যপারে দোষী বলেই মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, এটা পড়ুয়াদের দোষ নয়, যাঁরা তাদের গাইড করছেন তাঁদের দোষ।
পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ দেন, যাতে তারা রবীন্দ্রনাথ শরৎচন্দ্র কাজী নজরুল-সহ অন্যান্যদের বই পড়ে।
প্রসঙ্গত, এবারের উচ্চমাধ্যমিকে অনুত্তীর্ণ পড়ুয়ারা পাশ করানোর দাবি তুলেছে। তাদের যুক্তি কেউ কেউ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বা ইতিহাসে লেটার মার্কস পেয়েছে, তাহলে ইংরেজিতে ফেল করল কীভাবে! তবে পড়ুয়াদের বেশ কিছু নেতিবাচক ছবিও সামনে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া একাধিক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, অনেকেই ছাতার ইংরেজি শব্দ আমব্রেলার বানান বলতে পারছে না। অনেকই আবার উচ্চমাধ্যমিক বা হায়ার সেকেন্ডারি বানান করতেও হিমশিম খাচ্ছে। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে টিপ্পনী করছেন অনেকেই। এরই মধ্যে পড়ুয়াদের আচরণ নিয়ে মুখ খুললেন মমতা।