পুবের কলম প্রতিবেদকঃ ফের রাতের শহরে মর্মান্তিক ঘটনা। অ্যাম্বুলেন্সকে ধাক্কা বাসের। অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে রোগীর। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ডি এল খান রোড এলাকায়। মৃত রোগীর নাম নুর হক মোল্লা (৭০)। পুলিশ সূত্রে খবর, বাসটি ডিএলখান রোড থেকে নর্থের দিকে যাচ্ছিল। অ্যাম্বুলেন্সটি এজেসি বোস রোড থেকে পশ্চিমের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে অ্যাম্বুলেন্সটির। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, অ্যাম্বুলেন্সটির গতিবেগ স্বাভাবিকভাবেই বেশি ছিল। কিন্তু উলটোদিক থেকে আসা বাসের গতিবেগও ছিল বেশি। এজেসি বোস রোডের কাছাকাছি দু’টি গাড়ি মুখোমুখি হয়ে যায়। তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন বাসের চালক।
সোজাসুজি অ্যাম্বুলেন্সটিকে ধাক্কা মারে বাসটি। অ্যাম্বুলেন্সের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ভিতরে ছিলেন নুর হক মোল্লা। তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। আহত হন ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালকও। নুর হক মোল্লাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয়। আহতদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও মৃতের আত্মীয়দের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘাতক বাসটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্ত পলাতক। ঘটনায় এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, চোখের সামনেই দুর্ঘটনাটি ঘটল। উলটোদিক থেকে বাসটা সজোরে আসছিল। অ্যাম্বুলেন্সটির মুখোমুখি ধাক্কা মারে। এমনিতেই ওই রোগীর বয়স অনেক। এই ধকল নিতে পারেননি।
রাতের শহরে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কড়া পদক্ষেপ করছে কলকাতা পুলিশ। তারপরও এই ধরনের ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। এ দিকে অ্যাম্বুলেন্সের দুর্ঘটনার কবলে পড়ার বিষয়টিও আকসার শোনা যাচ্ছে। অভিযোগ উঠছে অনেকেই রাস্তা ছাড়তে চাইছেন না অ্যাম্বুলেন্সকে। পাশ কাটিয়ে যেতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে চালককে। কিছুদিন আগেই উত্তরপ্রদেশে এরকমই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল। দিল্লিতে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন একই পরিবারের ৬ জন। উত্তরপ্রদেশের পিলভির বাসিন্দা ছিলেন তাঁরা। ফেরার পথে প্রথমে দিল্লি লখনউ জাতীয় সড়কে একটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে অ্যাম্বুলেন্সটি। তারপরই উলটো দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ৬ জনের।