পুবের কলম প্রতিবেদকঃ দেশজুড়ে করোনা উদ্যোগের মাঝেই রাজ্য সরকার রাজ্যের সংক্রমণের স্থিতি জানতে দফায় দফায় সেন্টিনাল সার্ভে করছে রাজ্য সরকার। গত ১ থেকে ৩ জুন রাজ্যের সমস্ত জেলায় এই সেন্টিনাল সার্ভে অনুষ্ঠিত হয়। এই নিয়ে তৃতীয় বার। তৃতীয় সেন্টিনাল সার্ভের রিপোর্ট এ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তেমনি ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে বসিরহাট সহ কয়েকটি স্বাস্থ্য জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে।
স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলায় পজিটিভিটি রেট ১.১৬ শতাংশ। উত্তর ২৪ পরগনা সহ আরও চার স্বাস্থ্য জেলায় পজিটিভিটি রেট ০.৫ থেকে ১ শতাংশের মধ্যে। এই তালিকায় রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা (০.৯৯ শতাংশ), নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলা(০.৭৮ শতাংশ) পশ্চিম বর্ধমান (০.৫ শতাংশ) ও পূর্ব মেদিনীপুর (০.৭৩ শতাংশ)। গত সেন্টিনেল সার্ভেতে ০.৫ থেকে ১ শতাংশের তালিকায় ছিল মাত্র দুটি জেলা। এবার কিন্তু সেই তালিকা বৃদ্ধি হয়েছে। এর অর্থ সামান্য হলেও রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে। তবে এখানে আসার কথা রয়েছে এই সার্ভেতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের তেইশটি স্বাস্থ্য জেলায় সংক্রমণের হার শূন্য থেকে ০.৫ শতাংশের মধ্যেই রয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা মনে করছেন এই মুহূর্তে যখন গোটা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে রাজ্যে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তবে দরকার সর্তকতা। এক্ষেত্রে যেহেতু খুব ধীরগতিতে হলেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাই প্রয়োজন মাস্ক ব্যবহারের।
ভবনের তরফ থেকে এই সেন্টিনাল সার্ভে সম্পর্কে জানানো হয়েছে ১ থেকে ৩ জুন প্রায় ১১, ২০০ স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছিল তার উপর ভিত্তি করে এই সার্ভে হয়েছে। এই সার্ভেতে আরও উঠে এসেছে রাজ্যে যে টিকাকরণ কর্মসূচি হয়েছে তা এখনও ৬০ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে করোনা ঠেকাতে সক্ষম। মে মাসে যে সেন্টিনাল সার্ভে করা হয়েছিল তাতে দেখা গিয়েছিল প্রায় ৬৩ শতাংশ মানুষের মধ্যে টিকাকরণের কার্যকারিতা পাওয়া গিয়েছিল। অতএব টিকার প্রভাব সামান্য কমলেও তা এখনও করোনা ঠেকাতে সক্ষম। তবে এটাও সঠিক যে বর্তমান পরিস্থিতিতে বুস্টার নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা ক্রমেই বাড়ছে।