পুবের কলম প্রতিবেদক: এক সপ্তাহ না পেরোতেই রাজ্যে ফের করোনায় মৃত্যু হল এক মহিলার। শনিবার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। বছর ৩৫-এর ওই মহিলা উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার বাসিন্দা। প্রথমে বাইপাসের ধারে এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই মহিলা। অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
বেলেঘাটা আই ডি’তে আইসিইউ ভেন্টেলেটারি সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাঁকে। যদিও শেষমেশ সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়। শনিবার ভোররাতে মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত হয়ে ২ জুন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই মহিলা।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ২৯ মে-র পর রাজ্যে এই প্রথম করোনার জেরে কারও মৃত্যু হল। রাজ্যে গত মে মাসে ১, ৬ ও ২৯ তারিখ এই তিনদিন করোনার জেরে একজন করে রোগীর মৃত্যু হয়। তবে এই সময়ে দাঁড়িয়ে করোনায় মৃত্যুর ঘটনা খুব একটা উদ্বেগের পরিস্থিতি সৃষ্টি না করলেও, রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে দুটি পুরসভা এলাকায়। এগুলি হল রাজারহাট-নিউটাউন বিধাননগর পুরসভা এবং কলকাতা পুরসভার কিছু ওয়ার্ড। তার মধ্যে ব্ল্যাক জোনে রয়েছে কলকাতার পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ড। সপ্তাহে দু’য়ের বেশি করোনা আক্রান্ত হলে, সেই এলাকাকে ব্ল্যাক জোন ঘোষণা করা হয়।
অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে দুটি পুর এলাকাকে পিঙ্ক জোন ঘোষণা করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে রাজারহাট-নিউটাউন বিধাননগর পুরসভা। গত এক সপ্তাহে বিধাননগরে ২১ ও রাজারহাট-নিউটাউনে ১০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। পিঙ্ক জোনে রয়েছে কলকাতা পুরসভার ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ডও। এছাড়াও, কলকাতার পার্শ্ববর্তী জেলায় ব্ল্যাক জোনে রয়েছে রাজপুর-সোনারপুর, পানিহাটি, উত্তর ও দক্ষিণ দমদম, খড়গপুর ও বাঁকুড়া পুরসভা। এই এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার তরফে একাধিকবার সতর্কতা বার্তা প্রচার করা হয়েছে। প্রত্যেক নাগরিককে নিয়ম করে মাস্ক পরা, স্যানিটাইজেশনের মতো অভ্যেসগুলো জারি রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।